ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা নিজে দাবী করেছেন রাজ্যে বর্তমানে শান্তির পরিবেশ বিরাজ করছে, অপরাধের সংখ্যা তলানিতে এসে ঠিক আছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর নিজ বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত মহারাজগঞ্জ বাজারে প্রকাশ্য দিবালোকে ট্রাফিক পুলিশকে হেনস্তা করা হয়। রাজ্যের বিরোধী দল কংগ্রেসের অভিযোগ ট্রাফিক পুলিশকে হেনস্তাকারী ক্ষমতাসীন দল বিজেপির আশ্রিত দুষ্কৃতি। রাজধানীর বুকে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে যাওয়া ২৪ ঘন্টা কেটে গেলেও পুলিশ প্রশাসন দুষ্কৃতিদের ধরতে ব্যর্থ, অবিলম্বে এই সকল দুষ্কৃতিদের শহরে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরা দেখে সনাক্ত করে গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শনিবার আগরতলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে প্রদেশ কংগ্রেস এবং প্রদেশ যুব কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা।এদিন রাজধানী আগরতলার পোস্ট অফিস চৌমুহনী এলাকার সদর মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং দাবি জানায় অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।এদিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ মহিলা কংগ্রেসের সম্পাদিকা শ্রেয়শী লস্কর, সদর জেলা কংগ্রেস কমিটির সম্পাদিকা রূপা দাস, প্রদেশ যুব মোর্চার সহ-সভাপতি শাহজাহান ইসলামসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে দাঁড়িয়ে শাহজাহান ইসলাম অভিযোগ করেন, কর্তব্যরত দুই ট্রাফিক কর্মীকে হেনস্তার ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এই ভিডিওতে শোনা যাচ্ছে অশ্লীল ভাষায় হামলাকারীরা ট্রাফিক কর্মীদের গালিগালাজ করছে। সেই সঙ্গে নিজেদেরকে ক্ষমতাসীন দলের কর্মী বলেও দাবি করছে। ইতিমধ্যে দুষ্কৃতীরা চিহ্নিত হয়ে গিয়েছে তারপরও পুলিশ তাদের ধরতে ভয় পাচ্ছে। আরো বেশি প্রমাণ লাগলে শহরে যে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে এগুলো থেকে দুষ্কৃতীদের আরো অনেক ছবি পাওয়া যাবে। এই ছবিগুলো দেখে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। পাশাপাশি তিনি আরো বলেন আইন-শৃঙ্খলা ভালো রয়েছে বলে যে দাবি করছেন বাস্তব চিত্র তার বিপরীত। রাজধানী শহরের হামলার ঘটনা তা প্রমাণ করে। এই ধরনের ঘটনা তীব্র নিন্দা জানান তিনি।এদিন বিক্ষোভ প্রদর্শনকালে ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে খারাপ আচরণকারী লোকেদের ছবি হাতে নিয়েও রেখে ছিলেন তারা।