জিবিপি হাসপাতালে প্রত্যেকদিন ৮০ থেকে ১০০ জন রোগী ডায়ালিসিসের সুবিধা পাচ্ছেন। কিডনি রোগীদের যে পদ্ধতিতে জিবিপি হাসপাতালে ডায়ালিসিস পরিষেবা দেওয়া হয়ে থাকে তা এইমসের পদ্ধতি মেনে করা হয়। এখানকার ডায়ালিসিস পরিষেবা সরেজমিনে খতিয়ে দেখার জন্য এইমসের একটি বিশেষজ্ঞ দলকে এখানে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হবে। আজ বিকেলে আগরতলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজের কনফারেন্স হলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে এই সংবাদ জানিয়েছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, পরিষেবা আরও ভালো করার জন্য চলতি বছরের ১ আগস্ট থেকে জিবি হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কিডনি রোগীদের ডায়ালিসিস দেওয়া হচ্ছে। এই পদ্ধতি চালু হওয়ার পর প্রথমে দিন দশেক কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। এরপর সেই সমস্যা দূর হয়েছে। এমনিতে একটি মেশিন দিয়ে ৫ থেকে ৬ জনকে ডায়ালিসিস করানো যায়। আগে একটি মেশিনের মাধ্যমে একজনকেই ডায়ালিসিস করানো হতো। এখনও একটা মেশিনে একজন রোগীকেই ডায়ালিসিস দেওয়ার জন্য আউটসোর্সিং কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
তিনি জানান, এই দু’মাসে ৫ হাজারের বেশি রোগী জিবি হাসপাতালে ডায়ালিসিসের সুবিধা নিয়েছেন। প্রথম কয়েকদিনের কথা বাদ দিলে প্রায় সব রোগীই ডায়ালিসিস পরিষেবায় সন্তুষ্টি ব্যক্ত করেছেন। সচিব বলেন, এমনিতে বেসরকারি ক্ষেত্রে ডায়ালিসিস করানো হলে খরচ অনেক বেশি পড়ে। কিন্তু জিবি হাসপাতালে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, এখন জিবি হাসপাতালে ডায়ালিসিস নেওয়ার সময় রোগী ও তাদের পরিজনদের কাছ থেকে পরিষেবা সম্পর্কিত ফিডব্যাক চাওয়া হচ্ছে। এই পরিষেবায় তারা সন্তুষ্ট কিনা এজন্য রোগীদের কাছে একটি ফরম্যাটে দশটি প্রশ্ন জানতে চাওয়া হচ্ছে। পরিষেবা গ্রহণ করার পর এই ফরম্যাটে তারা তাদের অভিমত জানাচ্ছেন। সচিব বলেন, আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ডায়ালিসিসের সুবিধা দেওয়া হলেও এই পরিষেবা দেওয়ার সময় একজন সরকারি চিকিৎসক সংশ্লিষ্ট স্থানে থাকছেন। তিনি জানান, কিডনি রোগীরা যাতে কোনও সমস্যার সম্মুখীন না হন তা সুনিশ্চিত করতে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা নির্দেশ দিয়েছেন। সমস্ত মান বজায় রেখেই ডায়ালিসিস পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে কোনও আপোষ করা হবে না। আউটসোর্সিং কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। আরও একাগ্রতা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে এই পরিষেবা দেওয়ার জন্য তাদের বলা হয়েছে। তিনি বলেন, রোগীদের ভালো পরিষেবা দেওয়া না হলে জিবি হাসপাতালে ডায়ালিসিস করার বিষয়টি ফের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজের হাতে নিয়ে নেবে। সাংবাদিক সম্মেলনে এজিএমসির অধ্যক্ষ ডা. অনুপ সাহা, জিবি হাসপাতালের সুপার ডা. শঙ্কর চক্রবর্তী, ডেপুটি সুপার ডা. কনক চৌধুরী, জিবি হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. তপন মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।