ইঞ্জিনিয়াররা নিজেদের মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে প্রতিনিয়ত কাজ করছেন। বর্তমানে রাজ্যে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ অব্যাহত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্যের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। আর এটা সম্ভব হয়েছে রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মদক্ষতায়। আজ আগরতলার প্রজ্ঞাভবনে ৫৭তম ইঞ্জিনিয়ার্স দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। তিনি বলেন, ভারতরত্ন এম বিশ্বেশ্বরাইয়ার যুগান্তকারী অবদানকে স্মরণ করতে প্রতিবছর ১৫ সেপ্টেম্বর দিনটি আমাদের দেশে ইঞ্জিনিয়ার্স দিবস হিসেবে পালিত হয়।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে রাজ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ৬টি জাতীয় সড়ক রয়েছে এবং ৪টি নীতিগতভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে যারাই ভ্রমণ করছেন তারা ত্রিপুরার উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ও মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্যায়নের ভূয়সী প্রশংসা করছেন। রাজ্যের সর্বত্রই এই উন্নয়ন ও সৃষ্টিশীল কাজে ইঞ্জিনিয়ারদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এনআইটি, পলিটেকনিক কলেজ সহ বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ রাজ্যের ছেলেমেয়েরা শুধু রাজ্যেই নয়, বিদেশেও সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। সরকার রাজ্যের পরিকাঠামোগত উন্নয়নে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছে। রাজ্য বাজেটে পরিকাঠামো উন্নয়ন খাতে অর্থের সংস্থানও বৃদ্ধি করা হয়েছে। রাজ্যে পলিটেকনিক কলেজে ড্রোন সেন্টারও খোলা হয়েছে। তিনি বলেন, শুধুমাত্র উত্তর পূর্বাঞ্চলেই নয়, সারা দেশে ত্রিপুরাকে আদর্শ ও উল্লেখযোগ্য রাজ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সরকার উদ্যোগী হয়েছে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ভারতরত্ন এম বিশ্বেশ্বরাইয়ার কর্মজীবনের বিভিন্ন দিকও তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যসচিব জে কে সিনহা বলেন, পরিকাঠামো নির্মাণে নেতৃত্ব করছেন ইঞ্জিনিয়ারগণ। মানব সভ্যতার বিকাশে ইঞ্জিনিয়ারদের ভূমিকা অপরিহার্য। অনুষ্ঠানে পূর্ত দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে রাজ্যে পরিকাঠামো উন্নয়নে যে সমস্ত প্রকল্প রয়েছে তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, এই কাজে ইঞ্জিনিয়ারদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পূর্ত দপ্তরের (সেতু ও ব্রিজ) মুখ্য বাস্তুকার ইঞ্জিনিয়ার রাজীব দেববর্মা। তাছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের সচিব ড. সন্দীপ আর রাঠোর, শিক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার, মুখ্যমন্ত্রীর ওএসডি ইঞ্জিনিয়ার পরমানন্দ সরকার ব্যানার্জি প্রমুখ। অনুষ্ঠানে রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারদের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য কাজগুলি নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
৫৭তম ইঞ্জিনিয়ার্স ডে উদযাপন উপলক্ষে গোর্খাবস্তিস্থিত দি ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স ত্রিপুরা রাজ্য শাখার কার্যালয়ে এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা) মানিক সাহা ভারতরত্ন এম বিশ্বেশ্বরাইয়ার মর্মর মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী রক্তদাতাদের উৎসাহিত করেন।