সম্প্রতি দেশের রাষ্ট্রপতি রাজ্যের কৃতি সন্তান তথা প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মনকে তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল হিসেবে নিযুক্ত করেন ।তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল হিসেবে নিযুক্তির পর এই প্রথম রাজ্যে আসেন যীষ্ণু দেব বর্মন ।শনিবার মান্দাইয়ের খারাঙ কমিউনিটি হলে তাকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নাগরিক সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয় ।এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা, মুখ্য সচিব জে কে সিনহা ,রাজ্য বিধানসভার উপাধ্যক্ষ প্রসাদ পাল ,মন্ত্রী ফ্রনজিত সিংহ রায়, সান্তনা চাকমা, সুশান্ত চৌধুরী ,অনিমেষ দেববর্মা, শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া ,রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক বিধায়িকা কল্যাণীরায় ,মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা ,রাজ্য সরকারের উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের সচিব ব্রিজেশ পান্ডে সহ অন্যান্যরা। এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা বলেন ,রাজ্যের ভূমিপুত্র এবং কৃতি সন্তান হলেন জিষ্ণু দেব বর্মন ।তিনি শুধু একজন প্রাগ্য রাজনীতিবিদই নন ,তিনি লেখক ,কবি এবং শিল্পীও বটে ।রাজ্যের জনজাতিসহ সকল অংশের সার্বিক উন্নয়নে জিষ্ণু দেব বর্মনের চিন্তাভাবনা এবং কর্মকৌশলতা এক নতুন দিশা দেখিয়েছে ।এমন একজন ব্যক্তিত্বকে দেশের কোন একটি রাজ্যের রাজ্যপাল হিসেবে নিযুক্ত করায় রাজ্য ও রাজ্যবাসী গর্বিত বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রাজ্যের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলেঙ্গানা রাজ্যপাল বিষ্ণু দেব বর্মন ।শহর থেকে সরে এসে মান্দাইয়ের মত একটি স্থানে এই ধরনের অনুষ্ঠান করায় রাজ্য সরকারকে অভিনন্দন জানান তিনি ।তিনি জানান, এর থেকে প্রমাণিত হয় সরকার গ্রামমুখী ।তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল বলেন ,অতসব রাগ ঢাক তিনি জানেন না। যা মুখে আসে তাই বলে দেন। তিনি জানান ,তেলেঙ্গানাতেও ষষ্ঠ তফশীলভুক্ত এলাকা রয়েছে ।সেখানকার ষষ্ঠ তপশিলি এলাকার পরিচালন ব্যবস্থা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছেন তিনি ।তিনি জানান, আদান এবং প্রদানের মাধ্যমেই উন্নতি হয়। রাজ্যপালের ভূমিকা সেতুবন্ধনের মতো বলে জানান তিনি ।তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল জানান ,কেন্দ্র, তেলেঙ্গানা এবং নিজ রাজ্য ত্রিপুরার মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করে যাবেন তিনি।অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পৌর নিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার সহ এডিসির নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা।