অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের নিষ্ক্রমণ সমীক্ষা নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন সিপিআইএম পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার। রবিবার সি আই টি ইউ কার্যালয়ে এক রক্তদান শিবিরে উপস্থিত থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। তার মতে, ভোটের সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে দাবি পাল্টা দাবি চলছে। চুড়ান্ত ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে চার জুন পর্যন্ত। ৪৭ দিনব্যাপী অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সপ্তম দফার মধ্য দিয়ে শনিবার সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার বিকেল থেকেই ভোটের সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে ।নিষ্ক্রমণ সমীক্ষায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বলা হয়েছে দেশে ফের ক্ষমতায় আসছে এনডিএ জোট ।পন্ডিত জওহরলাল নেহেরুর রেকর্ড স্পর্শ করে নরেন্দ্র মোদিই হচ্ছেন আগামী পাঁচ বছরের জন্য সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী। অপরদিকে শনিবারেই ইন্ডিয়া জোটের নেতৃবৃন্দ দাবি করেছেন, অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে ক্ষমতায় ফিরছে জোট ।সংশ্লিষ্ট সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে যখন দেশভর আলোচনা তুঙ্গে তখন রবিবার সকালে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন সিপিআইএম পলিটব্যুরো সদস্য ,রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। এদিন রাজধানীর সি আই টি ইউ অফিসে ত্রিপুরা অটো রিক্সা ওয়ার্কাস ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় ।এই রক্তদান শিবিরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জানান ,লোকসভা ভোটের সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে দাবি এবং পাল্টা দাবি চলছে। এরা বলছেন এরা ক্ষমতায় আসছে। অপরদিকে ইন্ডিয়া জোটও বলছে ক্ষমতায় ফিরছে ইন্ডিয়া জোটই ।তিনি বলেন ,গণতন্ত্রে কেউ সরকার গড়বে,কেউ সরকার গড়তে পারবে না ।তবে বিষয়টি নিয়ে আগামী ৪ জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত ভোট ফেরত সমীক্ষায় যখন বিজেপি পরিচালিত এনডিএড জোটকে অনেকটাই এগিয়ে রাখা হচ্ছে, তখন ইন্ডিয়া জোট জোর গলায় দাবি করছে, নির্বাচনে ২৯৫টির বেশি আসন নিয়ে ক্ষমাতায় ফিরছে তারা। ইন্ডিয়া জোটের হয়ে সর্বভারতীয় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকা অর্জুন খারগে নিজেই শনিবার এই দাবি করেছেন। কংগ্রেস সভাপতি এই দাবি নিয়েও বিভিন্ন মহলে চলছে কটাক্ষ ।আর এই সময়েই সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে অনেকটাই নিরপেক্ষ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন সিপিআইএম পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার।