আগরতলা রেল স্টেশনে ধৃত ১ ভারতীয় সহ ৪ বাংলাদেশী নাগরিক:।আগরতলা রেল স্টেশন থেকে আটক ৪ বাংলাদেশি নাগরিক সহ এক ভারতীয়। শুক্রবার সন্ধ্যারাতে তাদের আটক করা হয়েছে ।ধৃতরা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে ।আগরতলা থেকে তাদের চেন্নাই যাওয়ার কথা ছিল।মানব পাচারের করিডোর হয়ে উঠেছে রাজ্য ।এই ক্ষেত্রে কোন হেলদোল নেই রাজ্য পুলিশ প্রশাসন এবং বিএসএফ কর্তৃপক্ষের। শুক্রবার রাতেও আগরতলা রেল স্টেশন থেকে ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী চার বাংলাদেশি যুবককে আটক করা হয়েছে ।একই সাথে আটক করা হয়েছে মানব পাচারের সাথে যুক্ত এক ভারতীয় চর কেও। বৃহস্পতিবার কোন এক সময় তারা অবৈধভাবে সীমান্ত দিয়ে ভারতের ত্রিপুরায় প্রবেশ করে। শুক্রবার কাক ভোরে আগরতলা-সেকেন্দ্রাবাদ ট্রেনে করে তাদের চেন্নাই যাওয়ার কথা ছিল ।কিন্তু বিশেষ কারণে ট্রেনটি শুক্রবার সকালের পরিবর্তে রাত সাড়ে এগারটায় আগরতলা থেকে রওয়ানা দেয়। সেই ট্রেন ধরতেই শুক্রবার সন্ধ্যারাতে ৫ যুবক আগরতলা রেল স্টেশনে প্রবেশ করে ।এই সময় জিআরপিএফ এবং আরপিএফ থানার পুলিশ স্টেশন চত্বরে চেকিংয়ের কাজে নিযুক্ত ছিলেন ।পাঁচ যুবকের গতিবিধিতে তাদের সন্দেহ হয় । তারা তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন ।জিজ্ঞাসাবাদে তাদের মধ্যে চার যুবক শিকার করে ,তারা অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত টপকে ভারতের ত্রিপুরায় প্রবেশ করেছে ।এই চার বাংলাদেশি যুবকের সাথে একজন ভারতীয় যুবক ও ছিল ।ধৃত বাংলাদেশি যুবকরা হলো ,জাহাঙ্গীর আলম ,এমান হোসেন, রিয়াদ হোসেন এবং ওমরান হোসেন ।তাদের সাথে থাকা ধৃত ভারতীয় যুবকের নাম রফিকুল ইসলাম। শনিবার আগরতলা রেল স্টেশনের জিআরপি থানার ওসি তাপস দাস এই সংবাদ জানান।উল্লেখ্য যে গত সাত দিনের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার আগরতলা রেল স্টেশন থেকে বাংলাদেশি নাগরিক ধারা পড়ল।এর আগে আগরতলা রেল স্টেশনেই ৮ জন বাংলাদেশী মহিলা ধরা পড়ে। তাদের সাথে ধরা পড়ে এক ভারতীয় যুবকও ।ধৃত মহিলাদের কাজের খোঁজে রানী কমলাবতী এক্সপ্রেসে করে মহারাষ্ট্রের মুম্বাই ও পুনে শহরে যাওয়ার কথা ছিল। উল্লেখ্য ,ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় সীমান্ত প্রহরায় নিযুক্ত রয়েছে বিএসএফ জোয়ানরা ।কিন্তু এরপরও ঢালাও হারে রাজ্যে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ ঘটছে ।এই সমস্ত ঘটনায় বিএসএফ এবং রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ভূমিকায় জনমনে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।