বুধবার আমরা বাঙালি সদর কার্যালয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আমরা দলের সচিব গৌরাঙ্গ রুদ্রপালসহ অন্যান্যরা। এদিন সংবাদ মাধ্যমকে সচিব জানান গত ১০ই মার্চ, কেন্দ্রীয় সরকার সারাদেশে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকরী করার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারী করল। বলা হলো, সি এএ আইনের মাধ্যমে যারা ভারতবর্ষের নাগরিকত্ব অর্জন করতে চায় তাদেরকে ২০১৪ সালের ৩১শে ডিসেম্বরের আগে ভারতবর্ষে এসে অন্ততঃ ৫ বছর স্থায়ীভাবে বসবাস করেছেন তার প্রমাণ পত্র দাখিল করে অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে দরখাস্ত করতে হবে। কিন্তু ভারতবর্ষের ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে বলা আছে:- (ক) জন্মসূত্রে (খ) উত্তরাধীকার সূত্রে (গ) বৈবাহিক সূত্রে অথবা (ঘ) ৫ বছর একটানা ভারতবর্ষের কোন রাজ্যে জাতিধর্ম নির্বিশেষে কেউ যদি বসবাস করেন ও ভারতীয় সংবিধানকে মেনে চলেন তবে তিনি দেশের নাগরিকত্ব অর্জনে সক্ষম হবেন। কিন্তু ক্যা আইনে পরিস্কার বলা আছে, ধর্মীয় উৎপীড়নের শিকার পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বর্তমান বাংলাদেশ থেকে আগত হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ও পাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরাই নাগরিকত্ব লাভের জন্যে আবেদন করতে পারবেন যা ভারতবর্ষেরর বর্তমান ধর্মনিরপেক্ষনীতি তথা সংবিধানের মৌল নীতির পরিপন্থী। যতই বলা হোক ক্যা আইন নাগরিকত্ব দেবার, নেবার নয় মানুষ কিন্তু পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারছেনা। নির্বাচনের প্রাকমুহুতে সবকিছু জেনে বোঝে ক্যা আইন চালুর ঘোষণা কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপি দলের রাজনৈতিক লাভালাভ যা-ই হোক না কেন নতুন করে দেশে যে একটি অশান্তির বাতাবরণ তৈরী হবে বলার অপেক্ষা রাখেনা। তাছাড়া নির্বাচনের প্রাক্কলগ্নে সি এ এ তথা ক্যা আইন কার্যকরী করার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের ঘোর বিরোধী আমরা বাঙালীদল। আমরা চাই ভারতের সংবিধান মেনে দেশভাগের বলি বাঙালীসহ প্রতিটি মানুষের নাগরিকত্বের নিশ্চিততার প্রদান, দেশভাগের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন ও সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠার পূর্ন গ্যারান্টি বলেও জানান তিনি।