Saturday, July 27, 2024
বাড়িখবররাজ্যসড়ক, সেতু ও ভবন নির্মাণে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা প্রয়োজন - মুখ্যমন্ত্রী

সড়ক, সেতু ও ভবন নির্মাণে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা প্রয়োজন – মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্যে পূর্ত দপ্তরের অধীনে যেসমস্ত নির্মাণ কাজ হচ্ছে সেগুলির গুণগতমান বজায় রেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। সড়ক, সেতু ও ভবন নির্মাণে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা প্রয়োজন। তাহলেই এগুলি টেকসই হবে। আজ প্রজ্ঞাভবনে পূর্ত দপ্তরের এক পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা একথা বলেন। পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রীর সচিব ড. প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী, পূর্ত দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং, পূর্ত দপ্তরের মুখ্য বাস্তুকার (সড়ক ও সেতু) রাজীব দেববর্মা, মুখ্য বাস্তুকার (জাতীয় সড়ক) অমিত দাস, মুখ্য বাস্তুকার (প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা) বিমল দাস, মুখ্যমন্ত্রীর ওএসডি প্রকৌশলী পরমানন্দ সরকার ব্যানার্জী সহ দপ্তরের বিভিন্ন স্তরের প্রকৌশলীগণ উপস্থিত ছিলেন। পর্যালোচনা সভায় রাজ্যে সড়ক, সেতু ও ভবন নির্মাণের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের উন্নয়নের মুখ হচ্ছে পূর্ত দপ্তর। রাজ্যে উন্নয়ন কর্মসূচি রূপায়ণে পূর্ত দপ্তরের প্রকৌশলীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি বলেন, পরিকাঠামো উন্নয়নে এখন অনেক উন্নত প্রযুক্তি রয়েছে। সভায় মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের পরিকাঠামো উন্নয়নে যেসমস্ত কর্মসূচি রূপায়িত হচ্ছে সেগুলিতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের পরিকাঠামোগত উন্নয়নে গুণগত দিক থেকে কোনভাবেই আপোষ করা চলবে না। উন্নয়নমূলক কর্মসূচি রূপায়ণের ক্ষেত্রে সমস্যা এলে তা আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত নিরসন করে কাজ করতে হবে। সভায় পূর্ত দপ্তরের সড়ক, সেতু ও ভবন নির্মাণে বর্তমান কাজকর্মের সাফল্য, অগ্রগতি ও বিভিন্ন নতুন উদ্যোগসমূহ নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়। পূর্ত দপ্তরের (সড়ক ও সেতু) বিভাগের ৫টি সার্কেলের অন্তর্গত বিভিন্ন ডিভিশনগুলির কাজকর্ম সমূহ সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীগণ বিস্তারিতভাবে সভায় অবহিত করেন। সভায় ৫ম সার্কেল আমবাসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জানান, সার্কেলের ৪টি ডিভিশনে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ৩৩৪.৭০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ১১৪.১৪ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ট ১৩৩.৪৮ কিলোমিটার সড়কের কাজ চলছে ও ২২.৬৩ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের জন্য টেন্ডার পর্যায়ে রয়েছে। তাছাড়া রাজ্যে স্পেশাল ইনসেনটিভ এবং আরআইডিএফ প্রকল্পে ৩৪টি সড়ক নির্মাণ কাজের অগ্রগতির চিত্র পরিসংখ্যানের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা থেকে সুবর্ণ জয়ন্তী ত্রিপুরা নির্মাণ যোজনায় হস্তান্তরিত সড়কগুলি নির্মাণে সাফল্য ও অগ্রগতির তথ্য তুলে ধরা হয়। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে আরআইডিএফ XXIX প্রকল্পে ১৪টি নতুন সড়ক ও দু’টি সেতু অনুমোদিত হয়েছে। এছাড়া চলতি অর্থবর্ষে ৫ম সার্কেলের অন্তর্গত ১৪টি বিভিন্ন দপ্তরের ভবনের মধ্যে ১৩টির কাজ চলছে এবং ১টি টেন্ডার পর্যায়ে রয়েছে। সভায় পূর্ত দপ্তরের ৪র্থ সার্কেল আগরতলার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জানান, এই সার্কেলের অন্তর্গত ৫টি ডিভিশন রয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই সার্কেলের অন্তর্গত ৫টি ডিভিশনে মোট ৫৫৩.৭৯০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ২২৮.৭৮২ কিলোমিটার সড়কের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ট ২৩৮.৪১১ কিলোমিটার সড়কের কাজ চলছে। ৮৬.৫৯৭ কিলোমিটার সড়কের কাজ টেন্ডার পর্যায়ে রয়েছে। স্পেশাল অ্যাসিস্ট্যান্স এবং আরআইডিএফ প্রকল্পে ৪৭টি সড়ক নির্মাণ কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি জানান, আরআইডিএফ XXIX প্রকল্পে ১৯টি সড়ক এবং ৩টি সেতু অনুমোদিত হয়েছে। এই সার্কেলের অন্তর্গত ৩৫টি ভবন নির্মাণ কাজের মধ্যে ২৭টির কাজ চলছে এবং অবশিষ্ট ৮টি টেন্ডার পর্যায়ে রয়েছে। সভায় তৃতীয় সার্কেলের অন্তর্গত বিভিন্ন সড়ক, সেতু ও ভবনের কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে সংশ্লিষ্ট সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জানান, এই সার্কেলে অন্তর্গত মোট ৫টি ডিভিশন রয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই ডিভিশনগুলির অধীনে ৬৮৫.৫৩ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ৩৫৩.৯৮ কিলোমিটার সড়কের কাজ শেষ হয়েছে। ৩০৩.৪০ কিলোমিটার সড়কের কাজ চলছে। অবশিষ্ট ২৮.১৫ কিলোমিটার সড়কের কাজ টেন্ডার পর্যায়ে রয়েছে।সভায় জানানো হয়, আরআইডিএফ XXIX প্রকল্পে ১৮টি নতুন সড়ক অনুমোদিত হয়েছে। তাছাড়া এই সার্কেলের অন্তর্গত বিভিন্ন দপ্তরের ৪৭টি ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। এছাড়াও সভায় পূর্ত দপ্তরের ২য় সার্কেল আগরতলা এবং প্রথম সার্কেল কুমারঘাটের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীগণ সংশ্লিষ্ট সার্কেলের আওতায় বিভিন্ন ডিভিশনের কাজের তথ্য তুলে ধরেন। সভায় রাজ্যের ৫টি সার্কেলের অন্তর্গত বিভিন্ন ডিভিশনে সড়ক, সেতু ও ভবন নির্মাণের উল্লেখযোগ্য কাজগুলি তথ্য চিত্রের মাধ্যমে প্রদর্শিত হয়। এছাড়াও পূর্ত দপ্তরের (ভবন) প্রজেক্ট ইউনিটের অন্তর্গত বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান ভবন নির্মাণ প্রকল্প সমূহের বর্তমান স্থিতি নিয়েও সভায় আলোচনা হয়। পূর্ত দপ্তরের (জাতীয় সড়ক)-এর মাধ্যমে রূপায়িত বিভিন্ন প্রধান সড়ক ও সেতুগুলির বর্তমান অবস্থা ও অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরা হয়।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

one × one =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য