পাশে থাকার বার্তা দিচ্ছেন সকলেই ,কিন্তু ফের মাথা তুলে দাঁড়ানোর রেট হোল বা ইঁদুরে গর্ত খুঁজে পাচ্ছেন না বটতলা বাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা । বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বটতলা বাজার বুধবার পরিদর্শনে যান সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের নেতৃত্বাধীন এক প্রতিনিধি দল। অল ত্রিপুরা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের এক প্রতিনিধি দলও এদিন বাজার পরিদর্শনে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন।সম্প্রতি এক বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাজধানীর দ্বিতীয় বৃহত্তম বটতলা বাজারের একাংশ ।এই অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হন বাজারের প্রায় 200 জন ব্যবসায়ী ।আগুনের লেলিহান শিখায় সর্বস্বান্ত হয়ে যায় তাদের মালামাল। এই অবস্থায় কি ভাবে ফের মাথা তুলে দাঁড়ানো যায় এই চিন্তাতেই এখন মগ্ন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা ।ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর দিনই বাজারে ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডক্টর মানিক সাহা। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে থাকার বার্তা দেন। মঙ্গলবার বাজার পরিদর্শনে যান বিরোধী দলনেতা অনিমেষ দেববর্মা ।তিনিও একই কথা শোনান ।বুধবার সকালে সিপিআইএমের এক প্রতিনিধি দল বটতলা বাজার পরিদর্শনে যায়।এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক তথা বিধায়ক জিতেন চৌধুরী। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেন ।ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের অবিলম্বে সাহায্য প্রদানের জন্য রাজ্য সরকারের নিকট দাবি জানান তিনি।এদিন ত্রিপুরা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের এক প্রতিনিধি দলও বটতলা বাজার পরিদর্শনে যায়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন সংস্থার চেয়ারম্যান রতন সাহা, সম্পাদক সুজিত রায়,সভাপতি তুষার কান্তি চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা। তারাও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন।বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনের কর্মকর্তাদের মৌখিক আশ্বাস পেলেও বটতলা বাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা প্রকৃতপক্ষে হতাশ। ঘটনার চারদিন পরেও কি করে ফের মাথা তুলে দাঁড়ানো যায় সেই পথ কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা খুঁজে পাননি। বর্তমানে একটা রেট হোল বা ইঁদুর গর্ত চাই তাদের। যে ইঁদুর গর্ত দিয়ে উত্তর কাশির সুরঙ্গে ১৭ দিন ধরে আটকে থাকা শ্রমিকরা একে একে বের হয়ে মুক্তির স্বাদ পেয়েছিলেন ।তেমনি একটা ইঁদুর গর্ত বা রেট হোল চাই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ।যার মাধ্যমে তারাও ফের মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেন।