রাজ্যের অন্যতম প্রধান সরকারি রেফারেল হাসপাতাল হল আগরতলা জিবি হাসপাতাল। সাধারণ মানুষের চিকিৎসার শেষ ভরসাস্থল হল এই জিবি। তাই প্রতিদিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানান রোগে আক্রান্ত হয়ে সাধারণ মানুষ ছুটে আসেন এই হাসপাতালে। এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা প্রায় সময় হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেও, বাস্তব চিত্র কিন্তু অনেকটা ভিন্ন কথাই বলে। একাংশ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর পরিষেবা প্রদানে গাফিলতির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তাদের খামখেয়ালিপনায় প্রায় সময় অকালেই প্রাণ ঝরে যায় চিকিৎসাধীন রোগীর। এনিয়ে প্রতিনিয়তই উত্তপ্ত হয়ে উঠে হাসপাতাল চত্বর। এবার হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে উঠল গুরুতর ভয়ঙ্কর অভিযোগ। এমনিতেই উৎসবের মধ্যে স্বাস্থ্যপরিসেবায় একপ্রকার লাটে জিবি হাসপাতালে। হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে নেই কোন সিনিয়র ডাক্তার। জুনিয়র ডাক্তারদের দিয়েই চলছে ট্রমা সেন্টার। আর এই জুনিয়র ডাক্তারদের খামখেয়ালীপনায় এখন জীবন সংকটে চিকিৎসাধীন রোগীরা। মেয়াদ উত্তীর্ণ রক্ত দেওয়া হচ্ছে দুর্ঘটনাগ্রস্থ রোগীকে। এবার এমনটাই গুরুতর অভিযোগ আনলেন রোগীর পরিজনেরা। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, নলছড় এলাকার বাসিন্দা শিল্পী ভৌমিক দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়ে জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকাল বুধবার রাতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্লাড ব্যাংক থেকে সংগ্রহীত রক্ত নিয়ে আসা হলে, সেই রক্ত দেওয়া হয় দুর্ঘটনা গ্রস্ত রোগীকে। অর্ধেক রক্ত শরীরে প্রবেশ করার পর, চিকিৎসক এসে প্রত্যক্ষ করেন এই রক্ত মেয়াদ উত্তীর্ণ। সঙ্গে সঙ্গে তা খুলে ব্লাড ব্যাংকে ফিরিয়ে দিতে বললেন চিকিৎসক। এতে করে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক দেখা দেয় রোগীর পরিজনদের মধ্যে। দুর্ঘটনাগ্রস্থ রোগীকে মেয়াদ উত্তীর্ণ রক্ত দেওয়ার ঘটনার সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই অন্যান্য রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে ফের আরো একবার প্রশ্ন উঠলো রাজ্যের প্রধান হাসপাতালের স্বাস্থ্যপরিসেবা নিয়ে।