সব প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে শুক্রবার থেকে শুরু হল হিন্দু ধর্মাবলম্বী বাঙালিদের শ্রেষ্ঠ ধর্মীয় উৎসব। তিথি অনুযায়ী এদিন মহাষষ্ঠী, দেবীর বোধন। সকাল থেকে প্রতিটি মণ্ডপে মন্ডপে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে শুরু হয় ষষ্ঠী পূজা। মায়ের বোধনের মধ্যে দিয়েই পুজো শুরু। ভোরের শিশির, রোদ ঝলমলে আকাশ, শিউলি ফুল, কাশের মেলা জানান দিচ্ছে আজ থেকে শুরু শারদ উৎসব। এখন একে একে সপ্তমী, অষ্টমী, নবমীর পর অনুষ্ঠিত হবে বিজয়া দশমী। আর এই কয়টি দিন উৎসবের আনন্দে গা ভাসাবেন রাজ্যের জাতীয় উপজাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সব অংশের মানুষ। এদিকে ইতিমধ্যেই আগরতলা সহ রাজ্যের সর্বত্র পুজো প্যান্ডেল দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। ফলে সন্ধ্যা গড়াতেই রাজধানীর ব্যস্ততম সড়কগুলো যেন আচমকা আরও ব্যস্ত হয়ে উঠে। প্রতিটি রাস্তায় প্রচণ্ড গাড়ির চাপ, ছিল মানুষের মিছিল। যানবাহনের গতি যেন থমকে গেছে! এবছর আগরতলা সহ গোটা রাজ্যেই পূজোর সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। প্রতিটি অলি গলিতেই আয়োজন করা হয় একাধিক পুজোর। পুজোর দিনগুলি যাতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অতিবাহিত হয় তার জন্য প্রশাসনিক ভাবেও সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।ষষ্ঠীর দিন সন্ধ্যা ছয়টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত শহরের প্রতিটি রাস্তায় যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় নগরের আনাচে কানাচে টিএসআর, সাদা পোশাকের পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।এদিকে পুজো উপলক্ষে নগরের যানজট নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হচ্ছে ট্রাফিক কর্মীদের। মানুষের দীর্ঘ জটে গাড়ি চলাচলেও বেশ ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে। তারপরও শারদোৎসব বলে কথা। হাজার সমস্যা দূরে ঠেলে আনন্দে মেতে উঠেছে রাজ্যের পাহাড় ও সমতলের বাঙালিরা।