আরব সাগরের তীরে মুম্বাই শহর এবং আশেপাশের এলাকাগুলোর অন্যতম বড় উৎসব হচ্ছে গণেশ চতুর্দশী। চিত্র তারকাদের বাড়ি থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং সার্বজনীন উদ্যোগে লাখো লাখো গণেশ পূজার আয়োজন করা হয়ে থাকে প্রতি বছর। গণেশ ঠাকুরের এই জনপ্রিয়তা এখন আর আরব সাগরের তীরেই সীমাবদ্ধ নয়। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের একেবারে প্রান্তিক রাজ্য ত্রিপুরাতেও সমান জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন গণেশ ঠাকুর। তাই এখন প্রতিবছর লাফিয়ে লাফিয়ে রাজ্যে বাড়ছে গণেশ পূজার প্যান্ডেলের সংখ্যা। আর এই গণেশ পূজার সঙ্গে সবচেয়ে বেশি জড়িত রয়েছে ত্রিপুরা রাজ্যের যুব সম্প্রদায়। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে গণেশ পূজায় শামিল হচ্ছে।আবার এই যুব সমাজের একটা বড় অংশ দিন দিন নেশার কড়াল গ্রাসে তলিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে যুব সমাজকে নেশার কুফল সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে জনপ্রিয় গণেশ ঠাকুরকেই বেছে নিলেন আগরতলার হাঁপানিয়া স্কুলের ইংরেজি বিষয় শিক্ষক সমীর দে। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে শরীরের শিরা পথে সিরিনঞ্জের মাধ্যমে। যেহেতু সিরিঞ্জ দিয়ে সরাসরি রক্তের মধ্যে ড্রাগ পৌঁছে দেওয়া যায় তাই তুলনামূলক কম খরচে নেশাশক্ত হওয়া যাচ্ছে। এই পন্থাকেই অবলম্বন করছে যুব সমাজ। এভাবে নেশা করার ফলে একদিকে যেমন নেশা হচ্ছে পাশাপাশি এইচআইভি এইডস সহ নানা মারণবেদিও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে যুব সমাজের মধ্যে । যুব সমাজ যাতে নেশার কড়াল গ্রাস থেকে বেরিয়ে আসে তাই এবছর তিনি গায়ে মাখার সাবান এবং ইঞ্জেকশনের সিরিজ ও সুইচ দিয়ে গণেশ মূর্তি তৈরি করেছেন। যাতে সকলে ড্রাগসের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন হন এবং অন্যদেরকেও সচেতন করেন। এইজন্য তিনি এভাবে শিল্পকর্মটি করেছেন বলে জানান। ড্রাগসের কুফল সম্পর্কে তুলে ধরার জন্য সমাজের সচেতন মহলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।