২০১৪ সালের ২৫ শে মার্চ গভীর রাতে নিজ বাড়িতেই আত্মহত্যা করেন রানিরবাজার থানার অন্তর্গত কড়ইমুড়া এলাকার গৃহবধূ ঝুমা দেবনাথ। অভিযোগ পনের জন্য স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই বিয়ের মাত্র ৭ বছরের মধ্যে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয় গৃহবধূ ঝুমা। পরে রানির বাজার থানার পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা হাতে নিয়ে ঘটনার তদন্তে নামে। এরই মধ্যে আত্মঘাতী গৃহবধূর বাবার বাড়ির লোকজন স্বামীসহ শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে পনের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন থানায়। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতেই রানির বাজার থানার তৎকালীন ওসি জয়ন্ত মালাকার তদন্তে নেমে বিভিন্ন ধারায় মামলা নিয়ে অভিযোগের সততা খুঁজে পেয়ে স্বামী রতন দেবনাথ, শ্বশুর মনিন্দ্র দেবনাথ ও শাশুড়ি মানদা দেবনাথের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। এরপরই আদালত দীর্ঘ শুনানির পর অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করেন। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার জেলা ও দায়রা জর্জ আদালত এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত কারীদের শাস্তি ঘোষণা করে। বিচারপতি রানির বাজার মোহনপুরের গৃহবধূ ঝুমা দেবনাথ হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত তিন আসামিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিলেন। একই সাথে প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আরো দুই মাস সশ্রম কারাদণ্ড। বিচারপতি চূড়ান্ত রায় ঘোষণা দেওয়ার পর একথা জানান এ পি পি অরবিন্দ দেব।