Monday, December 23, 2024
বাড়িখবররাজ্যআগরতলার জি বি হাসপাতালে মৃত্যুর হার চিন্তাজনক বৃহস্পতিবার জিবিপি হাসপাতালের কনফারেন্স হলে...

আগরতলার জি বি হাসপাতালে মৃত্যুর হার চিন্তাজনক বৃহস্পতিবার জিবিপি হাসপাতালের কনফারেন্স হলে সাংবাদিক সম্মেলনে বিশ্লেষণাত্মক তথ্য তুলে ধরেন ডাঃ অরুনাভ দাসগুপ্ত

বিগত ছয় মাসে অর্থাৎ ২০২৩ এর জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত আগরতলার জি বি হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা, কতজন সুস্থ হয়ে বাড়ি যাচ্ছেন, কত জন চিকিৎসার মাঝ পথেই চলে যাচ্ছেন, কত সংখ্যক রোগীর মৃত্যু হচ্ছে, এই মৃত্যুর পেছনে কারনই বা কি কি, এমন কি কত জন রোগীর বিষ পানে মৃত্যু হচ্ছে, বয়সের দিক থেকে পুরুষ ও মহিলা রোগীদের মৃত্যুর পেছনে কোন কোন দিক বেশি করে উঠে আসছে এই দিকগুলি নিয়ে বৃহস্পতিবার আগরতলা গভমেন্ট মেডিকেল কলেজ ও জিবিপি হাসপাতালের কনফারেন্স হলে সাংবাদিক সম্মেলনে বিশ্লেষণাত্মক তথ্য তুলে ধরেন জিবি হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের HOD প্রফেসর ডাঃ অরুনাভ দাসগুপ্ত। তিনি জানান এই সময়ের মধ্যে পুরুষ রোগী ভর্তি হয়েছেন ৮,১৫৮ জন। এর মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৬,৩৩৩ জন। মারা গেছেন ৫৪৪ জন। মাঝ পথে চিকিৎসা পরিষেবা না নিয়ে স্বেচ্ছায় চলে গেছেন ১,২৯০ জন। বিষ জনিত কারনে মৃত্যু হয়েছে ৬১ জনের। এক্ষেত্রে মৃত্যুর হার ৬.৬৯ শতাংশ। অপর দিকে এই সময়ের মধ্যে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে মহিলা রোগী ভর্তি হয়েছে ৪,৮৯৯ জন। মারা গেছেন ২৬৫ জন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৪,৩৬৯ জন। লামা অর্থাৎ মাঝ পথে চিকিৎসা পরিষেবা না নিয়ে স্বেচ্ছায় চলে গেছেন ২৪৯ জন। বিষ জনিত কারনে মৃত্যু হয়েছে ১৬ জন। মৃত্যুর হার ৫.৪ শতাংশ। তিনি জানান এই ছয় মাসে মোট ভর্তি হয়েছিল ১৩ হাজার ৫৭ জন। পুরুষ মহিলা মিলে মারা গেছেন ৮১০ জন। মৃত্যুর হার ৬.২ শতাংশ। তবে এদিন তিনি জানান এক্ষেত্রে তাদের লামা অর্থাৎ মাঝ পথে চিকিৎসা পরিষেবা না নিয়ে যারা হাসপাতাল থেকে চলে যাচ্ছেন তা যেমন কমিয়ে আনতে হবে এবং মৃত্যুর হারও কমিয়ে আনতে হবে।ডাঃ অরুনাভ দাসগুপ্ত এদিন বয়স ভিত্তিক কোন রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে পুরুষ ও মহিলারা মারা যাচ্ছেন সে দিকটিও তুলে ধরেন। তিনি জানান পুরুষদের ক্ষেত্রে ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে ইনফেকশান এ বেশি মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া লিভার এবং কিডনি সমস্যায়ও মারা গিয়েছেন অনেকে। ২৬ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে সেফসিস কমে আসলেও লিভার এবং কিডনি ফেইলুর এর জন্য অনেকে মারা গিয়েছেন। ৩৬ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে সেফসিস কমে গেলেও লিভার ফেইলুর বেড়েছে। প্রায় ৩৫ শতাংশ। এছাড়া ব্রেইন স্ট্রোকেও মারা গিয়েছে অনেকে। এক্ষেত্রে ও প্রায় ৩৫ শতাংশ। কিডনি ফেইলুরও বেশি। ৪৫ বছরের পর ব্রেইন স্ট্রোকে বেশি মারা গিয়েছেন বলে জানান তিনি। অপর দিকে মহিলাদের ক্ষেত্রেও ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে ইনফেকশান এবং কিডনি ফেইলুর হয়ে মারা যাবার সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে বেশি। এক্ষেত্রে শুধু মাত্র কিডনি ফেইলুর এর সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশ। এছাড়া ২৬ থেকে ৩৫ বছর বয়সের ক্ষেত্রেও দেখা গেছে কিডনি জনিত কারনে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। ৩৬ থেকে ৪৫ বছর এবং ৪৫ বছরের উপরে ও মহিলাদের ব্রেইন স্ট্রোক এবং কিডনি বিকল হবার কারনে মৃত্যু বেড়েছে বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক সম্মেলনে এ দিন অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেডিকেল সুপার ডাঃ শংকর চক্রবর্তী , ডেপুটি মেডিকেল সুপার ডাঃ কনক চৌধুরী প্রমুখ।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

4 + 12 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য