ছোট্ট শহর আগরতলায় অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে যানবাহনের সংখ্যা। সেই তুলনায় বৃদ্ধি পায়নি রাস্তার পরিধি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই যানজট এখন আগরতলা শহরের অন্যতম সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শহরের প্রতিটি ব্যস্ততম এলাকায় যাননিয়ন্ত্রণের জন্য বৈদ্যুতিক সিগনাল ব্যবস্থা চালু করা হলেও, যানজটের স্থায়ী সমাধান নেই। শহরের প্রায় প্রতিটি সড়কেই যানজট দেখা যায়। আর এই যানজটের কারণে প্রায় সময়ই গড়ছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। এর জন্য সচেতন মহল অনেকটাই দায়ী করে ট্রাফিক দপ্তরকে। রাস্তার পাশে অবৈধভাবে দ্বিচক্রযান থেকে শুরু করে প্রাইভেট চার চাকার গাড়ি পার্কিং করে রাখার কারণেই যানজটের সৃষ্টি। অবৈধভাবে রাস্তার পাশে গাড়ি পার্কিং করে যারা রাখছেন তাদের বিরুদ্ধে নেই কোন ব্যবস্থা। এনিয়ে প্রায় সময় সমালোচনার মুখে পড়ছেন ট্রাফিক দপ্তরের আধিকারিক থেকে শুরু করে কর্মীরা। অবশেষে দেরিতে হলেও বিষয়টি নিয়ে ময়দানে নামল ট্রাফিক দপ্তর। শুরু হলো ট্রাফিকের স্পেশাল ইনফোর্সমেন্ট ড্রাইভ। এই ইনফোর্সমেন্ট ড্রাইভের অঙ্গ হিসেবে শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালায় ট্রাফিক কর্তারা। ট্রাফিকের ডিএসপি থেকে শুরু করে ইন্সপেক্টর স্তরের অফিসাররা রাজধানীর বিভিন্ন মোটর স্ট্যান্ড ও ব্যস্ততম সড়ক গুলিতে বিশেষ অভিযান চালায় এদিন। অভিযান কালে যে সমস্ত যানবাহন মালিক পরিবহন আইন অমান্য করে রাস্তার মধ্যে অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং করে রেখেছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন আধিকারিকরা। প্রথমবারের মতো যানবাহন মালিকদের নোটিশ সহ ৫০০ টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়। তবে একই গাড়ি দ্বিতীয়বার অবৈধভাবে পার্কিং করা হলে জরিমানার অর্থ রাশি দ্বিগুণ হয়ে যাবে। অভিযান চলাকালীন সময়ে এমনটাই জানালেন ট্রাফিকের ডিএসপি প্রণব দাস।