উন্নয়নমূলক কাজ মানুষের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ভিলেজ কমিটি গুলোকে সক্রিয় উদ্যোগ নিতে হবে। বৃহস্পতিবার অরুন্ধতীনগরস্থিত পঞ্চায়েত রাজ প্রতিক্ষণ কেন্দ্রে পিপলস প্ল্যান ক্যাম্পেইনের রাজ্যভিত্তিক সূচনা করে এই কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত দপ্তরের সচিব ডাক্তার সঞ্জীব আর রাঠোর, অধিকর্তা প্রসুন দে সহ রাজ্যের ৮ জেলাপরিষদের সভাধিপতি সহ অন্যান্যরা।
গত ২ অক্টোবর জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে কেন্দ্রীয় সরকারের পঞ্চায়েত মন্ত্রক পিপলস প্ল্যান ক্যাম্পিনের সূচনা করে। বৃহস্পতিবার এই পিপলস প্ল্যান ক্যাম্পেইনের রাজ্যভিত্তিক সূচনা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা ।এই উপলক্ষে রাজধানীর অরুন্ধতীনগরস্থিত পঞ্চায়েত রাজ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত দপ্তরের সচিব ডাক্তার সন্দীপ আর রাঠোর, দপ্তরের অধিকর্তা প্রসুন দে, আট জেলা পরিষদের সভাধিপতিগন ,পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপার্সন সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। অনুষ্ঠানে পঞ্চায়েত দপ্তর থেকে প্রকাশিত চারটি বই উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। অরুন্ধতী নগরের পঞ্চায়েত রাজ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটিকে স্টেট পঞ্চায়েত রিসোর্স সেন্টার হিসেবে ঘোষণা দেন তিনি। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা বলেন ,পঞ্চায়েত এবং ভিলেজ কমিটি গুলিকে প্রকল্প বাস্তবায়নে আরো সক্রিয় হতে হবে ।কেন্দ্রীয় ও রাজ্যস্তরের পরিকল্পনা গুলির সঠিক বাস্তবায়ন না হলে পরে জনগণের কাছে উন্নয়নমূলক কাজ পৌঁছানো যাবে না ।বাস্তবমুখী পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নকে আরও তরান্বিত করার জন্য পঞ্চায়েতের ভূমিকা সম্পর্কে অবগত করান মুখ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে পিপলস ক্যাম্পেইন এর গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন পঞ্চায়েত দপ্তরের সচিব ডাক্তার সন্দীপ আর রাঠোর ।পঞ্চায়েতে উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা কিভাবে গ্রহণ করতে হয় সেই বিষয়গুলির উপর বক্তব্য রাখেন পঞ্চায়েত দপ্তরের অধিকর্তা প্রসুন দে ।সারা রাজ্য থেকে জনপ্রতিনিধি এবং সকল স্তরের কর্মচারী মিলিয়ে প্রায় ৭৫০ জন এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।