Saturday, July 27, 2024
বাড়িখবররাজ্যমৎস দপ্তরে নিয়োগ শীঘ্রই - সুধাংশু

মৎস দপ্তরে নিয়োগ শীঘ্রই – সুধাংশু

রাজ্যকে মৎস্য চাষে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে বেশকিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে মৎস্য দপ্তর। তাছাড়া মৎস্যচাষীদের উন্নয়ন প্রকল্পে গ্রহণ করা হয়েছে বেশকিছু পরিকল্পনা। বুধবার রাজ্যের মৎস্য চাষের সামগ্রিক অবস্থান নিয়ে এক সাংবাদিক বৈঠক করলেন মৎস দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য এখনো মাছ চাষে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠতে পারেনি। যার কারণে বাইরে থেকে মাছ আমদানি করতে হয় আমাদের। তবে রাজ্যের মাছের চাহিদা পূরণ করার জন্য বাইরে থেকে যে পরিমাণ মাছ আমদানি করা হচ্ছে তা খাওয়া কতটুকু যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কারণ বহুদূর থেকে এই মাছগুলো আসে বলে স্বাভাবিকভাবেই মাছগুলোকে ক্যামিকেল মেশানো হয় এতে কোন সন্দেহ নেই। তাই মৎস্য দপ্তরের সিদ্ধান্ত বাইরে থেকে যে মাছগুলি আমদানি করা হচ্ছে আগামীতে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। এর জন্য দ্রুত মাছ চাষে রাজ্যকে স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে হবে। এর জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। এই পরিকল্পনা সফল করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে বলে তিনি জানান।তাছাড়া তিনি বলেন , রাজ্যে মাছ চাষ সম্প্রসারণে সারা রাজ্যে ২৫০.০৫ হেক্টর নতুন জলাশয় তৈরি করা হয়েছে।৫০৯.১৮ হেক্টর জলাশয়ে মৎস্য চাষের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে মৎস্যচাষীদের। একটি চিংড়ি হ্যাচারি এবং ৭টি আইএমসি হ্যাচারি নির্মাণ করা হয়েছে।১৩ টি রঙ্গিন মাছ পালন করার নির্মাণ কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। খোয়াই পশ্চিম ও গোমতী জেলাতে তিনটি জ্যান্ত মাছ বিক্রয় কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। গোটা রাজ্যে তেরোটি ফিস ফিড মিল তৈরি করা হয়েছে।আগামী অর্থবছরে মাছ চাষ সম্প্রসারণে মৎস্য দপ্তর থেকে কী কী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে তারও একটি আভাস দিয়েছেন সাংবাদিক বৈঠকে। তিনি জানিয়েছেন চলতি অর্থবছরে ১৩ আইএমসি হ্যাচারি নির্মাণ করা হবে। আরো ১০০ হেক্টর নতুন জলাশয় তৈরি করা হবে।২২০.৬৪ হেক্টর সম্মিলিত চাষ জমিতে মৎস্য চাষ করার উপকরণ প্রদান করা হবে চাষীদের।১০ রঙ্গিন মাছ পালন কেন্দ্র স্থাপিত করা হবে। তাছাড়া মাছ বিক্রয় করার জন্য বাইসাইকেল, মোটর সাইকেল এবং তিন চাকার সাইকেল প্রদান করা হবে মৎস্য বিক্রেতাদের।এবং ৪২৪৬ জন মৎস্য ব্যবসায়ীকে জীবিকা নির্বাহের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। পাশাপাশি মন্ত্রী সুধাংশু দাস বলেন রাজ্যে মোট মৎস্য উৎপাদন এবং চাহিদার মধ্যে একটা বড় ফারাক রয়েছে। রাজ্যে বর্তমানে মাছের চাহিদা রয়েছে১ লক্ষ১১ হাজার ৭১৪ দশমিক ২৪ মেট্রিক টন। মোট ২৯ হাজার ৬৩০ মেট্রিক টন মাছ এখন আমাদের চাহিদা মেটাবার জন্য বাইরে থেকে আনতে হয়। পশ্চিমবঙ্গ অন্ধ্রপ্রদেশ এবং বাংলাদেশ থেকে এই মাছ আমাদের এখন আমদানি করতে হচ্ছে। মাছের এই চাহিদা পূরণ করার জন্য সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এখনো রাজ্যে যে জলাশয় গুলিতে মৎস্য চাষ করা হয় না অর্থাৎ পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে সেই জলাশয় গুলিকে সংস্কার করে মাছ চাষের উপযোগী করে তোলা হবে। এই পরিকল্পনা সফল হলে রাজ্যে মাছের উৎপাদন প্রায় ডাবল হয়ে যাবে বলে দাবী করলেন মৎস্য মন্ত্রী। তবে এই কাজ সফল করতে গেলে যথেষ্ট পরিশ্রম করার দরকার। তাছাড়া প্রয়োজন রয়েছে প্রচুর অর্থের। এই প্রকল্প সফল করার জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্থিক সহায়তা চাওয়া হয়েছে বলে জানালেন মন্ত্রী সুধাংশু দাস

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

16 − 6 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য