মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা আজ বিকেলে শালবাগানের অক্সিজেন পার্কে অর্কিডরিয়ামের উদ্বোধন করেন। উল্লেখ্য, বন দপ্তর ২০২১ সালে শালবাগানে অক্সিজেন পার্ক গড়ে তোলে। অর্কিডরিয়ামের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে আজ এই পার্কে নতুন পালক সংযোজিত হলো। রাজ্যে অর্কিডকে সংরক্ষণ ও আকর্ষণীয় করে উপস্থাপিত করার লক্ষ্যেই এই স্টেট অব আর্ট অর্কিডরিয়াম গড়ে তোলা হয়েছে। অক্সিজেন পার্কে অর্কিডরিয়ামের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা বলেন, এই অক্সিজেন পার্কের সৌন্দর্যতা উপভোগ করলে এই পার্কের নামের স্বার্থকতা খুঁজে পাওয়া যায়। রাজ্যের বন দপ্তরের উদ্যোগে এই অক্সিজেন পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। যা সত্যিই প্রশংসনীয়। আজ আবার নতুন করে আরও একটি সৌন্দর্য সংযোজিত হলো। এই অর্কিডরিয়াম ত্রিপুরার পর্যটন ক্ষেত্রকে আরও আকর্ষণীয় করবে। তিনি বলেন, এই অর্কিডরিয়ামে ৫০টি প্রজাতির অর্কিড রয়েছে যার মধ্যে ২০টি প্রজাতির অর্কিড ত্রিপুরার। এছাড়াও এই পার্কে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, গাছপালা এবং বিভিন্ন প্রজাতির বাঁশ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির প্রতিনিধিগণ ত্রিপুরা সফরে আসছেন। ত্রিপুরার পর্যটন, কৃষ্টি, সংস্কৃতি ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়কে তাদের সামনে তুলে ধরা হবে। যাতে তারা ত্রিপুরা সম্পর্কে আরও আকৃষ্ট হন। জি-২০ গোষ্ঠীর প্রতিনিধিগণ এই অক্সিজেন পার্কেও আসবেন। তাছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। এতে ত্রিপুরার পর্যটনের মান উন্নয়নের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী প্রচারের আলোয় আসবে ত্রিপুরার পর্যটন। এতে আগামীদিনে ত্রিপুরার পর্যটনের উন্নতি ঘটবে বলে মুখ্যমন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ত্রিপুরার মানুষ স্বভাবতই অতিথিপরায়ণ। জি-২০ প্রতিনিধিদের স্বাগত জানাতে ত্রিপুরা সরকার প্রস্তুত রয়েছে। রাজ্যের বন দপ্তর বনজ সম্পদের মান উন্নয়নে সর্বদা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আগামীদিনেও যাতে এই বনজ সম্পদের গড়িমা বাড়ানোর পাশাপাশি এই সম্পদকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটানো যায় সেই দৃষ্টিভঙ্গিতে কাজ করছে বন দপ্তর। মুখ্যমন্ত্রী আজ অক্সিজেন পার্কে এসে প্রথমে একটি নাগেশ্বর গাছের চারা রোপণ করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুখ্য প্রধান বন সংরক্ষক কে এস শেঠি। অনুষ্ঠানে এছাড়া বক্তব্য রাখেন মুখ্য সচিব জে কে সিনহা। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী জায়া স্বপ্না সাহা, বামুটিয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান শিলা দাস সহ বন দপ্তরের বিভিন্ন আধিকারিকগণ