রাজ্যের পর্যটন ক্ষেত্রগুলিকে আন্তর্জাতিক পর্যটন মানচিত্রে তুলে ধরতে হবে। আগামী ৩-৪ এপ্রিল আমাদের রাজ্যে অনুষ্ঠিত হবে জি-২০ বিজ্ঞান সামিট। এই সামিটে অংশ নিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিগণ রাজ্যে আসবেন। বিদেশী প্রতিনিধিদের রাজ্যের পর্যটনের অন্যতম কেন্দ্রগুলি দেখানো হবে। এজন্য পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে আকর্ষণীয় করে তোলা হচ্ছে। এই কাজে ত্রিপুরা পর্যটন উন্নয়ন নিগম লিমিটেড ও পর্যটন দপ্তরকে বিশেষ নজর দিতে হবে। আজ শ্বেতমহলে ত্রিপুরা পর্যটন উন্নয়ন নিগম লিমিটেডের কনফারেন্স হলে এক পর্যালোচনা সভায় পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী একথা বলেন। পর্যালোচনা সভায় পর্যটনমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের কাছে রাজ্যের পর্যটন শিল্পের বিকাশের সম্ভাবনাকে তুলে ধরার এটাই সবচেয়ে বড় সুযোগ। পর্যালোচনা সভায় পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী রাজ্যের পর্যটন শিল্পের বিকাশে বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন। সভায় তিনি রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে কেন্দ্র করে প্যাকেজ ট্যুর চালু, চাবাগান ভিত্তিক পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলা, ডুম্বুর জলাশয়ে বোট হাউজ নির্মাণ এবং সামাজিক মাধ্যম টিভি চ্যানেল ও পত্রিকায় রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলির কথা বিজ্ঞাপিত করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। রাজ্যের পর্যটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর নিযুক্ত করার ব্যাপরে তিনি নিগম কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। সভায় পর্যটন মন্ত্রী উজ্জয়ন্ত প্রাসাদে একটি সাংস্কৃতিক মঞ্চ ও ফুড কোর্ট নির্মাণ করার জন্য নিগম কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। এই সাংস্কৃতিক মঞ্চে যাতে সপ্তাহের প্রতি শনি ও রবিবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার বিষয়েও চিন্তাভাবনা করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখতে বলেন। তিনি বলেন, এতে করে উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ সম্পর্কে পর্যটকদের আকর্ষন আরও বাড়বে। উজ্জয়ন্ত প্রাসাদের সামনে স্থায়ী বিক্রয় কেন্দ্র চালু করে রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী পোষাক বিক্রয়ের ব্যবস্থা চালু করার জন্য তিনি নিগম কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন পর্যটন দপ্তরের সচিব উত্তম কুমার চাকমা, পর্যটন দপ্তরের অধিকর্তা তপন কুমার দাস, যুগ্ম অধিকর্তা জয়ন্ত দেববর্মা ও নিগমের অন্যান্য আধিকারিকগণ।
Open Now