অন্যের ঘরের অশান্তি সামনে এনে নিজের ঘরের দোষ ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা। তৃণমূলের (TMC) সাম্প্রতিক অবস্থানের পর এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।রাজ্যের দুই দল তৃণমূল এবং বিজেপি (BJP) ভুগছে গৃহদাহে। তৃণমূলে অশান্তের আগুন কিছুটা প্রশমিত হলেও বিজেপিতে এখনও ত্রাহিত্রাহি রব। সেই সুযোগকেই কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল। যা কর্পোরেশন ইলেকশনের আগে এক চাল বলে মনে করছেন বোদ্ধাদের কেউ কেউ।পরিস্থিতি সামাল দিতে দুই নেতাকে শো কজ করেছে গেরুয়া শিবির। যাকে হাতিয়ার অরেছে ঘাস-ফুল শিবির। তাদের মুখপত্রে বলা হয়েছে, ‘মন্ত্রী যখন প্রেসার পলিটিক্স করে দলের মুখ পোড়াচ্ছেন, তখন রাজ্য সভাপতি বলছেন, পিকনিককে ঘিরে দলের সর্ম্পক যাত্রা হচ্ছে, এমন খবর তাঁদের কাছে নেই। আশ্চর্যের কথা, রীতিমতো সংবাদমাধ্যমে বক্তব্য রেখে কর্মসূচি ঘোষণা করছেন, আর সভাপতি বলছেন আমি জানি না।’শান্তনু ঠাকুরদের পিকনিক কাণ্ডের পর পদ্ম কাননে জল আরও ঘোলা হয়েছে। রাজ্য নেতৃত্বের প্রতি কোনো বার্তা না দিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘গুণগান’ গেয়েছিলেন মতুয়া সম্প্রদায়ের এই নেতা। পুরভোটের আগে কার্যত গর্তে পড়েছে বাংলার ভারতীয় জনতা পার্টি।অন্যদিকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়- কুণাল ঘোষ, সর্বপরি মদন মিত্রের একের পর এক মন্তব্য চাপে ফেলেছিল রাজ্যের শাসক দলকে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ে পাশে দাঁড়াতে গিয়ে কুণাল, দেবাংশুরা আদপে নেত্রীর বিরুদ্ধে গিয়েছিলেন বলে ধারণা একাংশের। আপাতত তৃণমূলের অন্দরে বয়ে যাচ্ছে শীতল স্ত্রোত। দলের ভিতর রয়েছে ‘গণতন্ত্র’। বলেছেন অভিষেক।মুখপত্রের প্রকাশিত প্রতিবেদনের শুরুতেই লেখা, “বিজেপির ঘরে জোর কোন্দল। বিদ্রোহীদের মুখ বন্ধ করতে না পেরে এবার চিঠি ধরানোর রাজনীতি শুরু।”শোকজ নোটিশ ধরানো হয়েছে বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা রীতেশ তিওয়ারিকে। নোটিশ পেয়ে তিনি কার্যত উগড়ে দিয়েছেন ক্ষোভ। সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, “তৎকালদের থেকে পার্টির প্রতি দায়বদ্ধতা শিখব না।” কেন শোকজ করা হল সেটাই বুঝতে পারছেন না রীতেশ।