শুরু হয়েছে নবরাত্রি। ব্রত উপবাস করে মায়ের পূজা দেন হয়তো অনেকেই । আর সপ্তাহে সোমবার, মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার ও শনিবার নানা ব্রত উপবাস তো আছেই। সামনে আবার নীলষষ্ঠী। হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথিতে চৈত্র নবরাত্রি বা বাসন্তীপুজো করা হয়। অন্যদিকে, শুরু হয়েছে রমজান মাস। সারাদিন রোজা রাখেন মুসলিমরা। উপবাস করেও নিজেকে ফিট রাখবেন কীভাবে? আমিষ তো খাওয়া যায় না। খাবার থেকে পেঁয়াজ এবং রসুন বাদ দিতে হয়। ভাজাভুজি বা লুচি-পরোটা ছেড়ে ঘরেই বানিয়ে নিতে পারেন উপবাসের জন্য স্পেশাল রসনা।
১. সাবুদানা খিচুড়ি
স্টার্চ এবং কার্বোহাইড্রেটে পরিপূর্ণ সাবুদানা। উপবাস বা রোজার সময় আপনাকে প্রয়োজনীয় শক্তি দেয়। সাবুদানা, আলু, বাদাম এবং হালকা মশলা দিয়ে সাবুদানা খিচুড়ি তৈরি করা হয়। তেল কম ব্যবহার করুন। খিচুড়ির বদলে সাবুদানার পায়েসও তৈরি করতে পারেন।
২. কলা আখরোটের ঘোল
কলা এবং আখরোট লস্যি বা ঘোল খুবই সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর। দরকার পড়ে দই, কলা, মধু ও আখরোট। সবগুলি একসঙ্গে মিশ্রণ করে নিন। এটা খেতেও যেমন সুস্বাদু তেমনটি স্বাস্থ্যকরও। চিনি দেবেন না। গুড় বা মধু ব্যবহার করুন।
৩. পানিফলের আটার ভাজা
মুদি দোকানে মেলে পানিফলের আটা। সিদ্ধ আলুর সঙ্গে এই আটা মিশিয়ে নিন। তার পর সামান্য তেলে পরোটা বা টিক্কি করে নিন। সন্ধেয় চায়ের সঙ্গে খেতে পারেন। বা চাটনিও তৈরি করতে পারেন।
৪. ধোসা
ধোসা খেতে ভাল লাগলে পানিফলের আটার বানিয়ে নিতে পারেন। খুব মুচমুচে খেতে হয়। আলু বা পনীরের পুরও দিতে পারেন। সেই সঙ্গে পুদিনা ও নারকেলের চাটনি।
৫. ভাজা মখানা এবং কড়াইশুঁটি
মাখানা বা পদ্মবীজ সন্ধেয় দারুণ খাওয়ার হতে পারে। কড়াইশুঁটির সঙ্গে হালকা তেলে ভেজে নিন মাখানা। দুর্দান্ত জলখাবার হতে পারে।
৬. মাখানার পায়েস
উপবাস করলে মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে তৈরি হতে পারে। মাখানার সঙ্গে দুধ, ক্ষীর এবং কাজুবাদাম, কিসমিস মিশিয়ে পায়েস তৈরি করতে পারেন। খেতে দারুণ সুস্বাদু।