তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ—
বৃহস্পতিবার মুঙ্গিয়াকামী’তে বিজেপি দল সাংগঠনিক কর্মসূচির প্রস্তুতি’তে বাঁধা প্রাপ্ত হয়েছিল এবং সংঘর্ষ জনিত ঘটনা ঘটেছিল। এর চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে মোক্ষম আঘাত সংঘটিত করল ভারতীয় জনতা পার্টি।
২৯ কৃষ্ণপুর মন্ডলের উদ্যোগে মুঙ্গিয়াকামীতে ইদানিং কালের মধ্যে রাজ্য রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতে এক সর্ব বৃহৎ দলত্যাগ কর্মসূচি বা যোগদান কর্মসূচি সংঘটিত হয়।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডক্টর মানিক সাহা, প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, স্থানীয় বিধায়ক তথা জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, দলের রাজ্য নেতা বিপিন দেববর্মা প্রমুখদের উপস্থিতিতে ৬৪৮০ ভোটার বিভিন্ন দল বিশেষ করে মথা ত্যাগ করে শুক্রবার ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করে। নবাগতদের বিজেপি শিবিরে বরণ করে নিয়ে উচ্চশিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন আগামী দিনে সকল অংশের মেলবন্ধনের মধ্য দিয়ে প্রকৃত অর্থে এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ার কাজ বলিষ্ঠভাবে এগিয়ে চলবে।
পাশাপাশি নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবারের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কৌশলে মথা দলের নেতৃত্বদের যেমন রাজনৈতিক আক্রমণ করলেন ঠিক একই রকম ভাবে যারাই বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করে রাজ্যের উন্নয়নের ধারাকে ব্যাহত করার চেষ্টা করছে তাদের কাউকে ছাড়া হবে না বলে হুশিয়ারি দেন।
এর পাশাপাশি প্রদেশ সভাপতি রাজিব ভট্টাচার্য আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে আলোচনা করতে গিয়ে সিভিল সোসাইটির নামে যেভাবে বৃহস্পতিবার ভন্ডামি এবং গোন্ডামি করা হয়েছে সেই বিষয়টার নিন্দা জানিয়ে এই প্রকারের কর্মসূচিকে বরদাস্ত করা হবে না বলে বলিষ্ঠভাবে জানিয়ে দেন।
তবে শুক্রবার একটা বিষয় পরিস্কার হয়েছে প্রদেশ সভাপতি থেকে শুরু করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এক বাক্যে দাবি করেছেন বৃহস্পতিবারের ঘটনা এবং সাম্প্রতিক সময়ের বিভিন্ন হুমকি ধমকির রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতে প্রদেশ বিজেপি যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে দেখছে। অর্থাৎ শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে রাজীব ভট্টাচার্যের ঝাজালু বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আশা প্রকাশ করা যায় রাজ্য রাজনীতিতে বিরাট কিছু হতে চলেছে।



