তিপ্রাসা সিভিল সোসাইটি ডাকা চব্বিশ ঘন্টার রাজ্য বনধে গোর্খা বস্তির অফিস পাড়ায় কোন প্রভাব পড়েনি বলে দাবি এক সরকারী কর্মীর ।বনধ আহ্বানকারীদের দাবি সমর্থনযোগ্য নয় বলেও জানান তিনি ।এদিন মহাকরণেও কর্মচারীদের উপস্থিতির হার ছিল অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক।
আট দফা দাবির ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ২৪ ঘন্টার রাজ্য বনধের ডাক দেয় তিপ্রাসা সিভিল সোসাইটি নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ।এই রাজ্য বনধ সাফল্যমণ্ডিত করে তোলার লক্ষ্যে গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচারও চলছিল ।কিন্তু বৃহস্পতিবারের এই বনধকে কেন্দ্র করে জনসাধারণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা গেল ।এদিন বন্ধের সমর্থনে রাজধানীর উত্তর গেট এলাকায় পিকেটিং করে ভিআইপি রোড স্তব্ধ করে দেওয়া হয় ।রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে মূলত ভিআইপি রোডের সংশ্লিষ্ট এলাকা দখল করে নেয় বনধ আহ্বানকারীরা ।এই ঘটনায় কিছুটা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। মূলত ভিআইপি রোড সংলগ্ন মহাকরণ ,গোর্খাবস্তির অফিস পাড়া এবং আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কার্যালয়ে বনধের প্রভাব ফেলতেই উত্তর গেট এলাকায় মথা বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মার নেতৃত্বে এই ধরনের নাটক বলে বিভিন্ন মহলের অভিমত ।কিন্তু এতসব কাণ্ডকারখানার পরেও এদিন মহাকরণে কর্মচারীদের উপস্থিতির হার ছিল অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক ।মহাকরণ চত্তরের ছবি এর প্রমাণ দিল। অপরদিকে রাজধানীর গোর্খাবস্তির অফিস পাড়াতেও কর্মচারীদের উপস্থিতির হার ছিল স্বাভাবিক এদিন গোর্খা বস্তির অফিস পাড়ার এক সরকারী কর্মচারী জানান ,এই বনধে তাদের অফিসে কোন প্রভাব পড়েনি ।অন্যান্য দিনের মতোই কর্মচারীরা অফিসে এসেছেন এবং সুন্দর ভাবে অফিসের কাজকর্ম চলছে। বনধ আহ্বানকারীদের দাবি সমর্থনযোগ্য নয় বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য গত ১৩ সেপ্টেম্বর ১২ ঘন্টার জন্য এই বন্ধ হওয়ার কথা ছিল ।কিন্তু বিভিন্ন মহলের অভিমত চাণক্য নীতি গ্রহণ করে বৃহস্পতিবার ২৩ অক্টোবর এই বনধ ডাকা হয়েছে । এদিন রাজধানীর সার্কিট হাউজ এবং মহাকরণের সামনেও বনধের সমর্থনে পিকেটিং করার প্রয়াস নেওয়া হয় ।কিন্তু পুলিশ বনধ আহ্বানকারীদের এই উদ্যোগ বানচাল করে দেয়।



