দেশে তৃতীয় রাজ্য হিসেবে পূর্ণ স্বাক্ষরিত রাজ্যের স্বীকৃতি পেল ত্রিপুরা ।বুধবার এক অনুষ্ঠানে এই কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা। নব্য সাক্ষরদের থেমে না থেকে সামনের দিকে এগিয়ে চলার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী।
গোয়া এবং মিজোরামের পর নব ভারত স্বাক্ষরতা কার্যক্রম উল্লাসের অধীনে ত্রিপুরা পূর্ণ স্বাক্ষর রাজ্য হিসেবে ঘোষিত হলো ।সোমবার রাজধানীর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা এই ঘোষণা দেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার সাথে সাথেই সাক্ষরতার আলোয় আলোকিত ত্রিপুরা আত্মবিশ্বাস এবং সচেতনতার এক নতুন অধ্যায় প্রবেশ করল।এই অনুষ্ঠানের শুরুতে নব্য স্বাক্ষরদের বিভিন্ন প্রদর্শন পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারা সঠিকভাবে স্বাক্ষরিত হতে পারলেন কিনা সেই বিষয়টি যাচাই করে দেখেন তিনি ।পরে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ইউনেস্কোর গাইডলাইন অনুসারে ৯৫% স্বাক্ষরিত হলে পরেই কোন রাজ্য বা প্রদেশকে পূর্ণ স্বাক্ষর রাজ্য বা প্রদেশ হিসেবে ঘোষণা করা যায় ।ত্রিপুরা পুণ্য স্বাক্ষর রাজ্যের মর্যাদা পাওয়ায় তিনি খুশি বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী ।এর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরকে ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মার্গ দর্শনে সবাই মিলে একসাথে এই কাজ করেছেন বলেই রাজ্য আজ পূর্ণ স্বাক্ষরিত রাজ্যের মর্যাদা পেয়েছে ।তিনি জানান ,২০২২ সালের ১ আগস্ট থেকে এই অভিযান শুরু হয়েছিল। এই অভিযানকে সামাজিক আন্দোলন হিসেবে আখ্যায়িত করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন ,কেবলমাত্র একা শিক্ষকদের দিয়ে এই কাজ হয় না ।সবার সহযোগিতার প্রয়োজন হয় ।তিনি আরো জানান ,২০২৩ সালের ২৯ জুলাই কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান উল্লাস নামে একটি কর্মসূচি শুরু করেছিলেন ।উল্লাসের পাঁচটি দিক রয়েছে ।এর মধ্যে পড়া, লেখা এবং অংকের সাধারণ গান অবশ্যই নব্য সাক্ষরদের থাকতে হবে ।নব্য স্বাক্ষরদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখানেই থেমে থাকলে চলবে না ।শিক্ষার শেষ নেই। আপনাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে ।জীবনের একটা বন্ধ দরজার তালা আপনারা খুলেছেন ।এবার গোটা পৃথিবীকে আপনারা দেখতে পারবেন ।নব্য সাক্ষরদের দক্ষতা, আত্মনির্ভরতা এবং স্বপ্ন দেখার পরিসর আরো বৃদ্ধি পাক এমনটাই কামনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা দপ্তরের সচিব রাভেল হেমেন্দ্রকুমার ,দপ্তরের অধিকর্তা এন সি শর্মা সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।