নেতা। নেতা মানেই ক্ষমতাশালী। ক্ষমতা তাকে দেখাতে হবে। সব মানুষ দেখবে তার ক্ষমতা। দিল্লি অব্দি তার দৌড় থাকুক বা না থাকুক, দিল্লির দাপটও দেখাতে হবে। নেতাদের যেখানে দলীয় শৃঙ্খলার মধ্যে থেকে প্রটোকল মেনে দলের উচ্চস্তরের নেতাদের কাছে অনেক কষ্টে পোঁছতে হয়, সেখানে এইসব কষ্ট আর গন্ডির ধার ধারেন না প্রতাপগড়ের নেতা কাজল দাস। স্থানীয় বিধায়ক ঘনিষ্ঠ অষ্টম ফেইল কাজল সেদিন মহিলা পুলিশ দের গালে তার জন্মদিনের কেক মেখে দিয়েছিলেন। এ ঘটনায় নেতা কাজলের সাহস যে কতো মারাত্মক, তা দেখল রাজ্যবাসী। কিন্তু এতেই ক্ষান্ত হননি প্রতাপগড় নেতা কাজল। এবার তার ফেসবুক প্রোফাইলের একেবারে মূল ছবিতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী এবং আরও এক বড় মাপের জাতীয় স্তরের নেতার সঙ্গে স্থিতধী অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন অষ্টম ফেইল কাজল। ভাবুন কি অসাধারণ ক্ষমতা। দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রতাপগড়ের কাজল। কয়জনের এমন কপাল খুলে? স্বয়ং ১৩ নং প্রতাপগড় এলাকার বিধায়ক সম্ভবত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এমন পোজে ছবি তোলেন নি। কিন্তু কাজল তা করে দেখিয়েছেন।
তবে ভালো করে ছবিটি দেখলে বোঝা যায় ধূর্ত এই নেতা কম্পিউটারের ফটোশপে যে বিশারদ তাতে কোন সন্দেহ নেই। হ্যাঁ বোঝা গেল যে এটা ফটোশপের একটা সাজানো কাজ। কিন্তু দুঃসাহসটা দেখুন এই নেতা বাবুর। এমন ছবি এডিট করে ফেসবুক প্রোফাইল এর পেছনে সেটে দিলেও তার মধ্যে বিন্দুমাত্র কোন কার্পন্যবোধ পর্যন্ত নেই। এই ফেসবুক প্রোফাইলে প্রতিদিন নানান ছবি আপলোড করে মন্ত্রী-সহ রাজ্য স্তরের বড় বড় নেতা এবং বিধায়কদের কাছে একটা করছেন কাজল দাস। অল্প শিক্ষায় মুখে মারিতং জগতগোছের এরকম নেতাদের যে বিন্দুমাত্র লজ্জা বোধ থাকবে সেটা আশা না করাই ভালো। কারণ এটাই হচ্ছে এই সমস্ত নেতাদের কালচার। তারা এরকম বানানো ছবি পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রীকে পর্যন্ত অসম্মান প্রদর্শনের দুঃসাহস দেখাতে পারে। এই সব নেতাদের যারা গুণমুগ্ধ তারা ভাবেন কাজল বাবু মহা ক্ষমতাধর, দিল্লি অবধি তার হাত রয়েছে। দিল্লির নেতাদের সঙ্গে, এমন কি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও কাজল দা ছবি তোলার ক্ষমতা রাখেন। সন্দেহ নেই এই সমস্ত ক্ষমতা আর ছবিটবি দেখিয়ে. প্রতাপগড়ের নেতা কাজল দাসরা তাদের নানান দুরভিসন্ধি পূরণ করে থাকেন। এদের খপ্পরে যারা যারা পড়েছেন তারা হয়তো জানেন এরকম নেতারা কতটুকু মারাত্মক এবং কতটুকু প্রতারক।