ডিসেম্বর মাসেই ঊনকোটি জেলার সতেরো মিয়ার হাওড়ে ইন্টিগ্রেটেড একুয়া পার্ক নির্মাণের কাজ শুরু হচ্ছে ।এই একুয়া পার্ক রাজ্যে মাছের যোগান বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ।বৃহস্পতিবার বিশ্ব মৎস্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বললেন মৎস্য মন্ত্রী সুধাংশু দাস।
বৃহস্পতিবার বিশ্ব মৎস্য দিবস ।এই উপলক্ষে রাজধানীর প্রজ্ঞা ভবনে মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ।এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস। মৎস্য উৎপাদনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মৎস্য চাষীদের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এদিন তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় ।এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মৎস্যমন্ত্রী সুধাংশু দাস জানান ,মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে মৎস্যচাষীদের উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি জানান, রাজ্যে 95% লোকের পছন্দ মাছ। প্রতিবছর রাজ্যে এক লক্ষ সতের হাজার মেট্রিক টন মাছের প্রয়োজন হয় ।এর মধ্যে রাজ্যের নিজস্ব মাছ উৎপাদনের পরিমাণ হলো 85 হাজার মেট্রিক টন ।বাকি ৩২ হাজার মেট্রিক টন মাছ বাংলাদেশ ,পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধপ্রদেশ এবং উড়িষ্যা থেকে আমদানি করা হয়।
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মৎস্য মন্ত্রী সুধাংশু দাস জানান ,রাজ্যের ইতিহাসে এই প্রথম ইন্টিগ্রেটেড একুয়া পার্ক হচ্ছে ।ঊনকোটি জেলার ১৭ মিয়ার হাওর এলাকায় এক হাজার কানি জমির উপর এই ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকোয়া পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে ।এর জন্য ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে ।এখন পর্যন্ত প্রথম পদক্ষেপে কেন্দ্রীয় সরকার ৪৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে ।এই টাকা দিয়ে আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে ইন্টিগ্রেটেড একুয়া পার্ক নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে বলে জানান মৎস্য মন্ত্রী সুধাংশু দাস।
এদিন মৎস্য মন্ত্রী আরো জানান ,রাজ্যে বেকারত্ব দূরীকরণে মৎস্য দপ্তর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলছে ।তিনি আরো জানান, সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষীদের ৬ হাজার ৮০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে। পাশাপাশি মৎস্য চাষিদের ক্ষতিগ্রস্ত জলাশয় গুলি মেরামতির জন্য দশ হাজার টাকা করে প্রদান করা হবে। বন্যায় ক্ষতিপূরণের জন্য ১ হাজার ৩৫০ কোটি টাকার একটি প্রজেক্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে পাঠানো হয়েছে বলে জানান মৎস্য মন্ত্রী সুধাংশু দাস।