Sunday, November 10, 2024
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদ"স্বচ্ছতাই সেবা একটি গাছ মার নামে লাগান এই স্লোগানকে সামনে রেখে থোয়াই...

“স্বচ্ছতাই সেবা একটি গাছ মার নামে লাগান এই স্লোগানকে সামনে রেখে থোয়াই জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বনকর দশমীঘাট এলাকায় এক বৃক্ষ রোপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ।

বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ১৮ সেপ্টেম্বর…..খোয়াই বনকর স্থিত দশমীঘাট এলাকায় বুধবার দুপুর ১২ টা নাগাদ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিক আয়োজন করা হয়।এই বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বন মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খোয়াই জেলাশাসক চাঁদনী চন্দ্রন মহকুমা শাসক চারু ভরমা জেলা পুলিশ সুপার রমেশ চন্দ্র যাদব খোয়াই পুর পরিষদের চেয়ারম্যান দেবাশীষ নাথ শর্মা খোয়াই মহকুমার এস ডি এফ ও সঙ্গীতা কাঁঠাল অতিরিক্ত জেলাশাসক সুমিত কুমার পান্ডে সহ অন্যান্যরা । এই দিন বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এলাকার কিছু খোয়াই পুর পরিষদের পুরুষ এবং মহিলা সাফাই কর্মীদের হাতে ছাতা এবং রেইনকোট তুলে দেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত সমস্ত অতিথিরা ।এই বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ রাখতে গিয়ে জেলাশাসক চাঁদনী চন্দ্রন বলেন আমাদের নিজেদের মধ্যে এবং সমাজের মধ্যে স্বচ্ছতা বজায় রেখে চলতে হবে । এক কথায় পরিবেশকে সুন্দর রাখতে পারলে আমাদের মন যেমন পরিষ্কার হবে তেমনি পরিবেশ ও সুন্দর হবে । পাশাপাশি এই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে গেলে যেটা সবথেকে বেশি প্রয়োজন তা হল বৃক্ষ রোপন করা। এই বৃক্ষ রোপনের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য যেমন বজায় থাকে তেমনিভাবে পরিবেশ ও সুস্থ থাকে এতে করে এই পরিবেশে বসবাসকারী আমরা সুস্থ থাকতে পারি । শেষে এই বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অনিমেষ দেববর্মা এই গাছ লাগানোর মাহিত্ব নিয়ে আলোচনা করেন । এবং বলেন এখন তিনি বুঝতে পারছেন যে গাছ লাগানোর এবং প্রত্যেকটি গাছকে বাঁচিয়ে রাখা যে কি দরকার যা ছোটবেলায় এই বিষয়টি চিন্তা করেননি ।কারণ একটি গাছ আমাদের জীবন, এই গাছ না থাকলে পরিবেশের ভারসাম্য যেমন বজায় থাকে না তেমনি এই গাছ না থাকার কারণে সারা দেশের তাপমাত্রার হার প্রচন্ড বেড়ে গেছে । পাশাপাশি বৃষ্টির পরিমাণ কমে গেছে আবার তেমনি ভাবে কোন কোন এলাকায় প্রচন্ড পরিমাণে বৃষ্টি হয় আবার কোন কোন এলাকায় খরা দেখা দেয়। এছাড়া বিশেষ করে এই দশমী ঘাট এলাকাটি খোয়াই নদী দিয়ে ঘেরা গত কিছুদিন আগে বন্যার পরে খোয়াই নদীর বিভিন্ন এলাকা ভেঙ্গে গেছে । এই নদীর পারগুলি যাতে না ভাঙ্গে তার জন্য নদীর এলাকাতে বাঁশ গাছের চারা রোপন করা হচ্ছে যাতে নদীর পার বন্যায় ভেঙে না যায় । অন্যদিকে দেখা গেছে সরকারি ভাবে প্রতিবছর এইরকম বৃক্ষরোপণ এবং ঘটা করে বনমহোৎসব পালন করা হয় । অন্যদিকে খোয়াই সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যেভাবে বৃক্ষ নিধন করা হচ্ছে তার হিসাব কিন্তু বনদপ্তরে সহ অনেকের কাছে নেই। রাজ্যে বেশ কয়েকটি জাতীয় সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে আর এই জাতীয় সড়ক নির্মাণকে কেন্দ্র করে দীর শত শত বছরের পুরনো গাছ গুলিকে কেটে ফেলা হয়েছে। এছাড়াও বর্তমান সময়ে বিভিন্ন এলাকাতে অত্যাধুনিক করাতের দ্বারা প্রতিদিন গাছ নিধন যজ্ঞ ঘটা করে চলছে। বনদপ্তর এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারা দেখেও না দেখার ভান করে থাকে। খোয়াই এর শুভবুদ্ধি সম্পন্ন জনগণের বক্তব্য বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি যেভাবে ঘটা করে করা হয়। বৃক্ষের পরিচর্যা এবং বৃক্ষ নিধন কর্মসূচির বিরুদ্ধে সেইরকম কোন পদক্ষেপ সাধারণত জনগণের চোখে পড়ে না। এখন দেখার বিষয় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে এই রকম কর্মসূচির সফলতা কতটুকু পাওয়া যায় আগামী দিন এবং খোয়াই নদীর পাশে লাগানো বাঁশ গাছগুলি কতদিন টিকে থাকে এটাই লক্ষনীয় বিষয় ।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

thirteen + 17 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য