উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মধ্যে ত্রিপুরা রাজ্যে গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। ভূগর্ভে গ্যাসের চাপ ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। তাই ধীরে ধীরে সৌর শক্তির উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। বিদ্যুৎ দপ্তর এখনো লোকসানে চলছে। রাজধানীর ৭৯ টিলাস্থিত বিদ্যুৎ দপ্তরের অধীন স্টেট লোড ডেসপাচ সেন্টার পরিদর্শনে গিয়ে একথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা।তিনি নির্দেশ দেন, বিদ্যুৎ চুরি বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতন লাল নাথ, বিদ্যুৎ নিগমের এমডি বিশ্বজিৎ বসু, জেনারেল ম্যানেজার রঞ্জন দেববর্মা সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।মুখ্যমন্ত্রী এদিন স্টেট লোড ডেসপাচ সেন্টারের সার্বিক ব্যবস্থাপনা সরজমিনে ঘুরে দেখেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে অবগত হন। তারপর সেখানে বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সোমবার মহাকরণে বিদ্যুৎ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। সমস্যা গুলি নিয়ে কথা হয়েছে। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ পরিবাহী তার গুলি অনেক পুরনো হয়ে গেছে। ট্রান্সফরমারের সমস্যা রয়েছে রাজ্যে অনেক জায়গায়। যার কারনে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয় মাঝে মাঝে ওভার লোড হয়ে। বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থে পুরনো বিদ্যুৎ পরিবাহী তার গুলি পরিবর্তন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আন্ডার গ্রাউন্ড ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার চিন্তা ভাবনা চলছে। প্রথমে আগরতলা শহরে তা করা হবে।