মানুষের স্ট্রেস, টেনশন উভয়ই বেড়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে বেড়েছে কর্মহীনতা, কাজে অনিশ্চয়তাও। তার উপরে ওয়ার্ক ফ্রম হোমে কাজের সময়ও বেড়ে গেছে। ফলে কোপ পড়েছে ঘুমের সময় ও পরিবেশে। যে কারণে ঘুম আসতেও দেরি হচ্ছে। ঘুমের কোয়ালিটিতেও প্রভাব ফেলছে দৈনন্দিন জীবনের টেনশন।এই পরিস্থিতিতে ঘুমের শুরুটা যেন নিশ্চন্তে হয়, সেটা খেয়াল রাখা জরুরি। তাই ঘুমের আগে যে কোনো মন চঞ্চল করা বিষয় থেকে দূরে থাকতে হবে। তার মধ্যে অবশ্যই পড়ে মোবাইল। ঘুমে ঘাটতি যেমন বড় রোগের অনুঘটক হয়ে উঠতে পারে, তেমন যে কোনও বড় রোগের সিম্পটমও হতে পারে ঘুম না আসা বা দুঃস্বপ্ন দেখা।অন্য ঘরে চার্জ করার জন্য ফোন রাখুন। নিজেকে আপনার ফোন ছাড়াই বিছানায় যেতে দিন। যদি কোন জরুরী অবস্থা হয়, আপনি সকালে এটি সম্পর্কে জানতে পারবেন। বেডরুম থেকে ফোনটি সরিয়ে অন্য ঘরে যেমন রান্নাঘরে চার্জ করার জন্য রাখলে আপনার ঘুমের উপর এর প্রভাব কমানো সম্ভব।ইউরোপীয় হার্ট জার্নালে প্রকাশিত ওয়ারউইক মেডিকেল স্কুলের গবেষণা বলছে, ঘুমের অভাবে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক এবং কার্ডিওভাসকুলার ডিসঅর্ডার ঘটতেই পারে। তার ফলে প্রায়শই প্রাথমিক মৃত্যু ঘটায়চোখ বুজে শুয়ে ভাল চিন্তা করতে করতে ঘুমের অপেক্ষা করুন। উচ্চ রক্তচাপ বা সুগার থাকলে ঘুমের সময়ের সঙ্গে কোনও আপস করা যাবে না। সমীক্ষা বলছে, কম ঘুমের কারণে হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে। দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ঘুম কম হলে সেরিব্রাল স্ট্রোকের সম্ভাবনাও বাড়ে।তার উপরে ওয়ার্ক ফ্রম হোমে কাজের সময়ও বেড়ে গেছে। ফলে কোপ পড়েছে ঘুমের সময় ও পরিবেশে। যে কারণে ঘুম আসতেও দেরি হচ্ছে। ঘুমের কোয়ালিটিতেও প্রভাব ফেলছে দৈনন্দিন জীবনের টেনশন।অ্যাসিড ফর্ম করতে পারে এমন খাবার রাতে খাবেন না। এতে ঘুমে ব্যাঘাত হয়। অনেকেরই শুয়ে পড়লে খাবার মুখ দিয়ে উঠে আসে।আপনার ফোনের অ্যালার্ম ব্যবহার করার পরিবর্তে একটি অ্যালার্ম ঘড়ি পান। ঘুমের আগে মোবাইলে খুটখাট বা সিনেমা দেখা এড়িয়ে যান।যাঁদের ঘুমের সমস্যা আছে তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হালকা ডোজের ওষুধ খেতে পারেন।ঘুমোতে যাওয়ার আগে চা কফি খাবেন না। ধূমপান এড়িয়ে চলুন।
প্রায়ই কি আপনি অনিদ্রায় ভুগছেন ? জেনে নিন ঘুম সুনিশ্চিত করার কিছু সহজ উপায়
RELATED ARTICLES