মোট ২১ দফা দাবিতে দেশব্যাপী আন্দোলন অব্যাহত বামপন্থী কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নসমূহ ও সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার। এরই অঙ্গ হিসেবে মঙ্গলবার রাজভবন অভিযানে সামিল হল তারা।কৃষক আন্দোলন এবং শ্রমিক ধর্মঘট শুরু হয়েছিল ২৬ নভেম্বর থেকে। এই দিনটিকে ভিত্তি করেই কেন্দ্রীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় প্রতিটি রাজ্যের রাজধানীতে রাজভবনের সামনে গণধর্ণা সংগঠিত করা হবে ২৬ থেকে ২৮ নভেম্বর। সেই মোতাবেক এরাজ্যে প্রতিটি মহকুমায় ২৬ এবং ২৭ নভেম্বর গণধর্নার আয়োজন করা হয়। মঙ্গলবার রাজ্যের ট্রেড ইউনিয়ন এবং কৃষক সংগঠন যৌথভাবে রাজভবন অভিযান করে। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন পবিত্র কর, প্রবীণ নেতৃত্ব মতিলাল সরকারসহ অন্যান্যরা। মিছিল থেকে দাবি উঠে সরকারি হাসপাতাল বেসরকারিকরণ করা যাবে না, শ্রম আইনের সংশোধনী বাতিল করতে হবে, বিদ্যুতের গ্রাহক স্বার্থ বিরোধী বিল বাতিল করতে হবে, বন আইন পাট্টা প্রাপকদের প্রয়োজনীয় অর্থ দিতে হবেসহ আরো বেশ কিছু দাবি। গোটা কর্মসূচি সম্পর্কে বলতে গিয়ে পবিত্র কর বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে বাধ্য করা হয়েছিল কৃষি আইন বাতিল করার জন্য। এরপর কৃষিমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ফসলের ন্যায্য দামের জন্য নীতি প্রণয়ন করা হবে, কিন্তু তার কিছুই হয়নি। তিনি বলেন, মঙ্গলবারের এই রাজভবন অভিযানে গোটা রাজ্যের কৃষক শ্রমিকরা শামিল হয়েছেন।