কেন্দ্রীয় সরকার ২০২২ সালের ২৮ শে জুন এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে বন সংরক্ষণ অধিনিয়ম- ২০২২ কার্যকর করে এবং তারই পরিপূরকভাবে এবছর বন সংরক্ষণ সংশোধনী বিল- ২০২৩ লোকসভার বাদল অধিবেশনে পেশ করে বিতর্কের সুযোগ না দিয়ে পাশ করিয়ে নেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে এই বিল রাজ্য সভাতেও পাশ হয়। এই অধিনিয়ম ও বন সংরক্ষণ সংশোধনী বিল-২০২৩ আইনে পরিণত হলে বনভূমিকে ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাস্তবে কোন বাধা থাকবে না। এর ফলে আদিবাসী, চিরাচরিত বনবাসী ও গরীব মানুষের দুরবস্থার আর সিমা থাকবে না। স্বাধীনতার পর এক কোটির বেশি আদিবাসী, চিরাচরিত বনবাসী ও গরীব মানুষ নিজেদের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ হয়েছে। এই আইন লাগু হলে আরও লক্ষ লক্ষ আদিবাসী, চিরাচরিত বনবাসী ও গরীব মানুষ উচ্ছেদ হয়ে ভিখারীতে পরিণত হবে। এই আইন লাগু হলে আরও লক্ষ লক্ষ গাছ কাটা পরে বনভূমি ধ্বংস হবে। ফলে পরিবেশের ভারসাম্য বিঘ্নিত হবে। অল ইন্ডিয়া জন অধিকার সুরক্ষা কমিটি আদিবাসী, চিরাচরিত বনবাসী ও গরীব মানুষের স্বার্থ রক্ষায় আন্দোলন করে আসছে। কমিটি বন সংরক্ষণ আইন সংশোধনী বিল – ২০২৩ ও বন সংরক্ষণ অধিনিয়ম-২০২২ অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং অরণ্যের অধিকার আইন-২০০৬ সম্পূর্ণরূপে লাগু করার দাবিতে সারা ভারত প্রতিবাদ দিবস পালের ডাক দেয় বুধবার। তারই অঙ্গ হিসাবে এদিন আগরতলার বটতলায় কমিটির ত্রিপুরা ইউনিটের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ সভার আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন কমিটির ত্রিপুরা রাজ্য ইউনিটের আহ্বায়ক মলিন দেববর্মা। তিনি এই দাবিগুলির সমর্থনে দীর্ঘস্থায়ী আন্দোলন গড়ে তুলতে জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান।