উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের আঠারোমুড়া পাহারের একটা বিস্তীর্ণ অংশ থেকে ইট চুরির ঘটনাগুলো সামনে আসছে। অভিযোগ, একটা দুষ্টচক্র এই ঘটনা পরিকল্পিতভাবে সংগঠিত করে চলেছে, পরবর্তী সময়ে চুরির এই ইট গুলো চিপসের আকারে বাজারে বিক্রি করে দেওয়ার খবর গুলো বেশ কিছুদিন ধরেই ভেসে বেড়াচ্ছিল। এবং এই ইট পরিকল্পিতভাবে চুরি করা এবং পরবর্তী সময়ে চিপসের আকারে বিক্রি করে দেওয়ার পেছনে বেশকিছু রাঘব বোয়াল জড়িত রয়েছেন এমনটাও খবর ছিল। মঙ্গলবার আঠারোমুড়া পাহাড়ের গায়ে ডাম্পার ভর্তি ইটের চিপস আটক হয়, একদল সচেতন সাধারণ মানুষরা যখন সংশ্লিষ্ট ডাম্পার আটক করে ডাম্পারের সঙ্গে থাকা এক যুবক’কে চেপে ধরেন তখন চালক সোজাসুজি জানিয়ে দেন এই ইটের চিপস গুলো তেলিয়ামুড়া শহরের পরিচিত একজন ঠিকেদার মনোজ ঘোষের। অর্থাৎ অনুমান করা যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় সড়কের নিচের যে ইটগুলো চুরি করে চিপস বানানোর প্রক্রিয়া চলছে এর পেছনে মাস্টারমাইন্ড হিসেবে মনোজ বাবু কাজ করছেন। একটা সূত্র থেকে এটুকুও জানা গেছে স্থানীয় কোন একটা প্রত্যন্ত অঞ্চলে মনোজ বাবুর বেশ কয়েকটি নির্মাণ কাজে এই ইটের চিপস গুলো দেদার ব্যাবহার হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে সরকারকে ঠুঁটো জগন্নাথ বানিয়ে চোর চক্রকে ব্যাবহার করে অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় মনোজ ঘোষ নামের এই প্রতিষ্ঠিত ঠিকেদার পাহাড়ের ইট চুড়ি কাণ্ডের সাথে যুক্ত নয়তো! প্রশ্নটা কিন্তু ঘুরপাক খাচ্ছে সর্বত্র। বলাই বাহুল্য, এই মনোজ ঘোষ পূর্বের একটি ধর্ষণ মামলার আসামিও ছিলেন। সেই সঙ্গে, বর্তমানে বামগ্রেসের একজন প্রথম সারির নেতৃত্বও বটে এই মনোজ বাবু। অন্যদিকে, মনোজ বাবুর এহেন কাণ্ডে ঠিকাদার মনোজ ঘোষ’কে এখন অনেকে চোরা মনোজ বলে আখ্যায়িত করছে তেলিয়ামুড়ায়।
এখন দেখার বিষয় আদতে পাহাড়ের গায়ে ডাম্পার ভর্তি চিপস আটক কিংবা ডাম্পারের চালকের স্বীকারোক্তি মূলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত ব্যাবস্থা গ্রহণ করে, নাকি কড়কড়ে নোটের গন্ধে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যায়। তবে স্বভাবতই প্রশ্ন থেকে যায়, জাতীয় সড়কের বহু চর্চিত ইট চুরির নেপথ্যে মূল মাস্টারমাইন্ড কি মনোজ?