বর্তমানে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র বাংলাদেশের যে অবস্থা তা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে কেননা সেখানে লক্ষ লক্ষ হিন্দু জমায়েত হয়েছে মানুষকে রক্ষা করার জন্য গণতন্ত্র পুন: প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে, আমাদের দেশ ভারতবর্ষের যে সংবিধান রয়েছে সেই সংবিধান আমাদেরকে বাক স্বাধীনতার অধিকার দিয়েছে, তা সত্ত্বেও আজকের এই দিনে আমরা এমন কোন কথা বলবো না যেটাতে সংবিধান লঙ্ঘিত হয়। মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের পরিবহন দপ্তরের উদ্যোগে হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে আয়োজিত ভেহিক্যাল রেলি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে এমনটাই বক্তব্য রাখলেন রাজ্য সরকারের পর্যটন ও পরিবহন দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। এদিনের রেলীটি রাজধানীর নাগেরজলা বাস স্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে এবং দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হর ঘর তেরঙ্গা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দেশের বীর শহীদ সেনা জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের যে বার্তা রেখেছেন তা জনসাধারণের মাঝে ছড়িয়ে দেন। মন্ত্রী ছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার কাউন্সিলর অভিজিৎ মল্লিক এবং টিআরপিসি চেয়ারম্যান বলাই গোস্বামী সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। এদিন মন্ত্রী আরো বলেন পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রে গণতন্ত্রকে লঙ্ঘিত করে গণতান্ত্রিক সরকারকে ফেলে দেওয়ার জন্য যে ষড়যন্ত্র রচিত হচ্ছে তা থেকে আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে চোখ কান খোলা রাখতে হবে, শান্তি বজায় রাখতে হবে আমাদের এই রাজ্যে, কেননা আমাদের দেশের যে সরকার আমাদের ছোট্ট ত্রিপুরা রাজ্যকে ঢেলে সাজানোর উদ্দেশ্যে নানাবিধ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে, যার ফলে আমাদের রাজ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রবোধ ও উন্নয়ন সাধন করেছে। তাছাড়া দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথায় “আমার কাছে উত্তরপ্রদেশের যে গুরুত্ব ত্রিপুরার ক্ষেত্রেও সেই গুরুত্ব রয়েছে।” সুতরাং আমাদের ভাবতে হবে আমরা কোথায় ছিলাম আর আমরা আগামী দিনে কোথায় পৌঁছাতে পারবো। তার পাশাপাশি আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে বার্তালাপ করে রাজ্যকে উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষে কাজ করে চলেছে। তাছাড়া তিনি আরো বলেছেন যে শত্রুরা সদা জাগ্রত তাই আমাদেরকে চোখ কান খোলা রেখে সতর্ক হয়ে জাগ্রত থাকতে হবে। এদিনের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উপস্থিত দপ্তরের কর্মীদের মধ্যে উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়