যোগাযোগ ব্যবস্থা সুদৃঢ় থাকলে এলাকার উন্নয়ন স্বাভাবিক। আর যোগাযোগ ব্যবস্থা যদি উন্নয়নের ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় তবে স্বাভাবিকভাবে উন্নয়ন বিঘ্নিত ঘটবে। এমনই এক বাস্তব চিত্র উঠে এল স্ব-শাসিত জেলা পরিষদের অন্তর্গত তেলিয়ামুড়া মহকুমা মুঙ্গিয়া কামী আর ডি ব্লকের অধীন আঠারো মুড়া এডিসি ভিলেজের বিলাইকাং পাড়াতে। উল্লেখ্য, মুঙ্গিয়াকামি আরডি ব্লকের অধীন ১৮ মুড়া এ ডি সি ভিলেজের বিলাই কাং ও খাকলাই এই দুইটি পাড়াতে মোট ৬০ থেকে ৬৫ টি পরিবারের বসবাসের গড়ে উঠেছে পাহাড়ের মাঝে দুটি পাড়ার।ওই দুইটি এলাকার বসবাসরত জনজাতি অংশের মানুষেরা অন্য বস্ত্র বাসস্থানের জন্য প্রকৃতির উপর নির্ভর করে জীবন জীবিকার যুদ্ধে বেঁচে রয়েছে। আবার কিছু কিছু মানুষজনেরা জুম চাষ বনের বাঁশ বিক্রির উপর নির্ভরশীল বহু বছর ধরে। তাদের অর্থ সামাজিক মান উন্নয়নের জন্য অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে যোগাযোগের ব্যবস্থা। ১৮ মুড়া পাহাড়ের জাতীয় সড়কের ৪৬ মাইল থেকে পাহাড়ে চড়াই উতরাই রাস্তা অতিক্রান্ত করে পৌঁছতে হয় ওই দুইটি এলাকায়। তবে ওই দুটি এলাকায় উন্নয়নের জন্য অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। যোগাযোগ ব্যবস্থা যতটুকু রয়েছে তা মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এই মরণফাঁদ যোগাযোগের মাধ্যম ধরেই এই দুইটি এলাকার বসবাসকারী মানুষজনেরা বাজার হাট থেকে শুরু করে শিক্ষা পরিষেবা, চিকিৎসা পরিষেবা সহ যাবতীয় পরিষেবা নিতে হচ্ছে। বিশেষ করে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা রাস্তাঘাটের বেহাল দশার এর কারণে স্কুলে যেতে অনীহা প্রকাশ। বিশেষ করে অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে খুবই দুর্বিষহ অবস্থার মধ্য দিয়ে আনতে হচ্ছে। গর্ভবতী মায়েদের প্রসবের সময় দুঃখের অন্ত থাকে না। এদিকে বারবার স্ব-শাসিত জেলা পরিষদ প্রশাসনের কাছে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়ে থাকলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না এমনটাই অভিযোগ রয়েছে ওই এলাকায় বসবাসকারী জনজাতি অংশের মানুষদের। তবে এখন দেখার বিষয় স্ব-শাসিত জেলা পরিষদ প্রশাসন ওই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য কতটুকু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।।