পারিবারিক ঝগড়া বিবাদের জেরে স্ত্রী তার স্বামীর মাথায় ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপ দেয়। রক্তাক্ত স্বামী গুরুতর আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনা কৈলাসহরের ইছবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নুয়াগাও এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র আতংক বিরাজ করছে। কৈলাসহরের গৌরনগর ব্লকের অধীনে অবস্থিত ইছবপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। এই ইছবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের স্থায়ী বাসিন্দা আব্দুল করিম।পেশায় রাজমিস্ত্রী। গত দশ বছর পূর্বে ফটিকরায়ের বাসিন্দা রুজিনা বেগমকে সামাজিক ভাবে বিয়ে করেছিলো আব্দুল করিম। বিয়ের পর থেকেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ হতো বলে এলাকাবাসীর অভিমত। গতকাল বুধবার গভীর রাতে স্বামী আব্দুল করিম এবং স্ত্রী রুজিনা বেগমের মধ্যে তুমুল ঝগড়া বিবাদ হয়। এই ঝগড়া বিবাদের ফলে একসময় স্ত্রী রুজিনা বেগম উত্তেজিত হয়ে স্বামী আব্দুল করিমের মাথার পিছন দিকে ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপ দেয়। দা দিয়ে কুপ দেওয়ার ফলে রক্তাক্ত স্বামী আব্দুল করিম সংজ্ঞাহীন অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। আব্দুল করিমের এই অবস্থা দেখে আব্দুল করিমের মা চিৎকার চেচামেচি শুরু করলে আশেপাশের মানুষ বাড়িতে ছুটে এসে আব্দুল করিমের এই অবস্থা দেখে কৈলাসহরের অগ্নি নির্বাপক দপ্তরে এবং কৈলাসহর মহিলা থানায় খবর দেয়। কৈলাসহরের অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের অফিস থেকে এবং কৈলাসহরের মহিলা থানা থেকে আব্দুল করিমের বাড়িতে আসতে সর্বোচ্চ দশ থেকে পনেরো মিনিট সময় লাগলেও অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের কর্মীরা কিংবা কৈলাসহর মহিলা থানার পুলিশ কেউই দেড় ঘন্টার মধ্যে না আসায় গ্রামবাসীরা স্থানীয় টম টম গাড়ি দিয়ে কৈলাসহরের ভগবান নগর এলাকায় অবস্থিত ঊনকোটি জেলা হাসপাতাল পাঠায়। আব্দুল করিমের মা সংবাদ প্রতিনিধিদের জানান যে, আব্দুল করিমের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় আব্দুল করিমকে জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তি করে দেন এবং আব্দুল করিমের মাথায় আটটি সেলায় লেগেছে বলেও জানান। আব্দুল করিমের মা প্রকাশ্যেই বলেন এই ঘটনাটি আব্দুল করিমের স্ত্রী রুজিনা বেগম করেছে। সাত এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে রুজিনা বেগমের বিরুদ্ধে কৈলাসহর মহিলা থানায় মামলা করে আব্দুল করিমের মা। ঘটনার পর রুজিনা বেগম আব্দুল করিমের বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। পুলিশ রুজিনা বেগমকে গ্রেফতার করার জন্য হন্যে হয়ে খুঁজছে।