বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ৯ই ডিসেম্বর….এক মহিলাকে বলপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ পেয়েও আসামিকে ধরছেনা বলে পুলিশের বিরুদ্ধে উঠেছে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে।অভিযুক্ত ব্যক্তি এখনো অধরা।অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করার ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্রও তৎপরতা নেই পুলিশের।এমনটাই অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে । অন্যদিকে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় শাসকদলীয় নেতার দাপটে অভিযুক্ত প্রকাশ দেবনাথ প্রকাশ্যেই ঘোরাফেরা করছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।স্থানীয় কতিপয় শাসকদলীয় নেতাদের পরামর্শেই নাকি পুলিশ নিষ্ক্রিয় রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ গত দীর্ঘ বছর দশেক পূর্বে অভিযোগকারীকে অভিযুক্ত প্রকাশ দেবনাথ ভুলিয়ে ভালিয়ে সুরিয়া নামক এক চিটফান্ড কোম্পানিতে মৌখিক ভাবে এজেন্ট পদে নিয়োগ করেন সেই মোতাবেক জনৈক মহিলা এজেন্ট স্থানীয় কিছু আমানতকারীদের টাকা সংগ্রহ করে অভিযুক্ত প্রকাশ দেবনাথের কাছে জমা করেন। কিন্তু পনের মাস পর ওই চিটফান্ড কোম্পানিতে টাকা জমা করতে গিয়ে জানতে পারেন অভিযুক্ত প্রকাশ দেবনাথ সমস্ত টাকা পয়সা নিয়ে অন্যত্র পালিয়ে গেছে। পরবর্তী সময়ে কয়েকজন আমানতকারী ওই মহিলার স্বামীর নামে কল্যাণপুর থানায় একটি মামলা করলে পুলিশ তার স্বামীকে গ্রেফতার করে এবং এই মামলায় মহিলা স্বামীকে দেড় বছর সাজাও কাটতে হয়েছে বলে জানযায়।অন্যদিকে এই মামলা চালাতে গিয়ে জমি ,বাড়ি টাকা পয়সা সর্বস্ব হারাতে হয়েছে এ মহিলার কিন্তু বর্তমান সময়ে এই মামলা চালানোর আর সামর্থ নেই অভিযোগকারীদের । বহুবার প্রকাশ দেবনাথের দারস্ত হলেও কোন সদুত্তর না পেয়ে স্থানীয় বিধায়কের দারস্ত হলে এক সালিশিভায় এই মামলায় সম্পূর্ণ খরচ প্রকাশ দেবনাথ বহন করবে বলে সিদ্ধান্ত হয় ।সেই মোতাবেক গত ১০ই নভেম্বর দিনের বেলায় আর্থিক দেনা পাওনার সূত্রে স্থানীয় এক মহিলা কল্যানপুরের জনৈক প্রকাশ দেবনাথের দোকানে যায়।তখন উক্ত প্রকাশ দেবনাথ নাকি মহিলাকে রাতের বেলায় এসে টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য বলে।সরল বিশ্বাসে ঐ মহিলা ঐদিন রাতে কোন এক সময় প্রকাশ দেবনাথের বাড়ীতে গেলে লোকটি মহিলাকে বলপূর্বক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ উঠে।ভয়ভীতি ও লোকলজ্জার কারণে মহিলা এতদিন থানায় কোন ধরনের অভিযোগ জানায়নি।অবশেষে মনের সাহসের উপর ভর করে গত ২৬শে নভেম্বর তিনি খোয়াই মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।অভিযোগকারী মহিলার অভিযোগ অনুসারে ঘটনাস্থল কল্যানপুর থানাধীন হওয়ায় পরদিনই খোয়াই মহিলা থানার পুলিশ অভিযোগপত্রটি কল্যানপুর থানায় যথারীতি পাঠিয়ে দেয়।কিন্তু বারো দিনের মতো পার হয়ে গেলেও কল্যানপুর থানার পুলিশ অভিযোগ সম্পর্কে এখনো পর্য্যন্ত কোন খোঁজ খবর না নিয়ে বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।অভিযুক্ত ব্যক্তি এখনো অধরা।তাকে গ্রেপ্তার করার কোন তৎপরতাই নেই পুলিশের।স্থানীয় শাসকদলীয় কতিপয় নেতার পরামর্শেই নাকি পুলিশ একটি ধর্ষণের অভিযোগ পেয়েও নিষ্ক্রিয় রয়েছে বলে অভিযোগ। এখানেই অভিযুক্ত ব্যক্তির সাথে পুলিশের কোনও ধরনের গোপন বোঝাপড়ার রহস্য সৃষ্টি হয়েছে।পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় ঐ মহিলা বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বলে জানান মহিলা। এখন দেখার সংবাদ প্রকাশের পর কি ভূমিকা পালন করেন খোয়াই মহিলা থানার পুলিশ কিংবা কল্যাণপুর থানার পুলিশ।সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছে সমস্ত অংশের জনগন।।



