বিশালগড় প্রতিনিধি,শাহিনুর চৌধুরী। ৩ ডিসেম্বর। রাজ্যেকে নেশা মুক্ত করতে নেশা কারবারিদের বিরুদ্ধে একপ্রকার জেহাদ করলো রাজ্যের প্রশাসন।কোন রেহাত করা হবে না।বর্তমান সমাজের ভয়াবহতা পরিস্থিতি নেশার নেশার আধিপত্য। সামন্য অর্থের বিনিময়ে অবৈধ গাঁজা চাষীরা নেশার যুব সমাজকে ধ্বংসাত্মক করে ফেলেছে।আর নয় এই ভাবে চলতে দিলে সমাজের যুব সমাজ বিলীন হয়ে যাবে।জেলা পুলিশের পাশাপাশি এই বছরের প্রথমবারের মতো গাজাবাগান ধ্বংস অভিযানে তৎপরতা দেখালো এন্টি নারকোটিক শাখা। বেশ কিছুদিন ধরেই সিপাহীজলা জেলা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশের সদর দপ্তরের নির্দেশে সিপাহীজলা জেলার বিভিন্ন থানার পুলিশ বিভিন্ন থানা এলাকায় জোরদার গাজা বিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এবার জেলা পুলিশের পাশাপাশি গাজাবাগান ধ্বংস করতে মাঠে নামল এন্টি নারকোটিক শাখার এসপি শ্যামানন্দ শর্মা। জানা গেছে বুধবার সকাল ৯ঃ০০ টায় এন্টি নারকোটিক শাখার এসপি শ্যামানন্দর শর্মার নেতৃত্বে কলমচৌড়া থানার অন্তর্গত মানিক্যনগর বালিমা এবং কুইরা ভাঙ্গা এলাকায় কলমচৌড়া পুলিশ, টি এস আর এবং সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে ওই এলাকায় পৌঁছে প্রথমে ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে ওই এলাকার গাঁজা বাগান গুলি চিহ্নিত করার পর যৌথ বাহিনী গাজা বাগান ধ্বংস অভিযান শুরু করে। এদিন অভিযানকারী দলটি ৪০ টি ফ্লটে ২ লক্ষের অধিক গাঁজা গাছ ধ্বংস করে। এবং গাজা বাগান ধ্বংস অভিযান শেষে সাংবাদিকদের ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে এন্টি নারকোটিক শাখার এসপি শ্যামানন্দ শর্মা জানিয়েছেন তাদের কাছে এমন একাধিক গাজা বাগানের খবর রয়েছে, একে একে সবগুলি গাঁজা বাগান ধ্বংস করা হবে। তিনি একদিন আরো জানিয়েছেন গাঁজা চাষিরা অযথা অবৈধ এই গাজা চাষের প্রতি অর্থ খরচ এবং শ্রম দিয়েছে, যদি তারা এই শ্রম এবং অর্থ সবজি চাষের ক্ষেত্রে ব্যবহার করত তাহলে সবদিক থেকেই তারা উপকৃত হত।



