বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ২৯শে নভেম্বর….দিন দুপুরে খোয়াই মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিকদের সামনে রেখেই এক রাবার চাষীর রাবার বাগান কেটে ধ্বংস করে দিল পাশের জমির মালিক নগেন্দ্র ঋষি দাস ও উনার ছেলে বিক্রম ঋষি দাস তহশিলদারের সামনে। অথচ তহসিলদার ভালো করে জানতেন যে বিকাশ পালের রাবার বাগানটি খাস জাগায় তৈরি হয়েছে। সেই জায়গার গাছ গুলি কাটার তাদের কাছে কোন অনুমতি নেই। তাদের দায়িত্ব নগেন্দ্র ঋষি দাসের জমিটি মাপ যোগ করে তাদের হাতে তুলে দেওয়া। কিন্তু নগেন্দ্র ঋষি দাসের ছেলে বিক্রম ঋষি দাসের কথায় ঐদিন তহশীলদারের সামনেই বলপুর্বক বিকাশ পালের রাবার গাছগুলি কেটে দেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। অন্যদিকে ঘটনার বিবরণে জানা যায় নগেন্দ্র ঋষি দাস ও ছেলে বিক্রম ঋষি দাস খতিয়ান নং ১/৮ এর অন্তর্গত দাগ নং ৪৩/৪৫/৪৬ নং দাগ মূলে আদালতে জমির মামলা চলছিল।গত কিছুদিন আগে পুরানো জমির মামলাটি তাদের পক্ষে রায় আসে। এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৪ শে নভেম্বর সরকারি আধিকারিক, তহশিলদার এবং পুলিশ প্রশাসনে সামনে তাদের জমি নির্ধারণ করে দেয় প্রশাসন।এই দিনই তাদের নির্ধারিত জমি বাদে কিভাবে খোয়াই ধলাবিল এলাকার বিকাশ পালের দীর্ঘ ৩৫ থেকে ৪০ বছর ধরে জীবনযাপন করার জন্য একই খতিয়ানের ৪৪ নং দাগের জমিটি অর্থাৎ সরকারি খাস জমির মধ্যে রাবার চাষ করে তার আয় দিয়ে সংসার প্রতিপালন করে আসছিলেন। গত ২৪শে নভেম্বর সরকারের পক্ষ থেকে কোন নোটিশ না দিয়ে এবং মৌখিকভাবে কিছু না জানিয়ে হঠাৎ করে পাশের জমির মালিক নগেন্দ্র ঋষিদাস ও উনার ছেলে বিক্রম ঋষি দাসের কথায় ও সরকারি আধিকারিক তহশিলদার এবং পুলিশের সামনেই বিকাশ পালের রাবার বাগানের ২০০ টির উপর রাবার গাছ কেটে ফেলে দেয়। তাতে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা উপর ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিকাশ পাল অথচ এই বিষয়ে তহশিলদার কোন কথা বলেননি নগেন্দ্র ঋষি দাস দেরকে। যদিও বিকাশ বাবু বেশ কয়েকবার সরকারের কাছে আবেদন করেছেন দখলকৃত খাস জমির অ্যালটমেন্ট এর কাগজ পাওয়ার জন্য। কিন্তু আবেদন করার পরও কোন কাগজ করতে পারেন নি। হঠাৎ করে এইভাবে বিকাশ পালকে কিছু না জানিয়ে তার পঞ্চাশ লক্ষ টাকা ক্ষতি করায় সে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন। এখানে উল্লেখ্য পেটের দায়ে সে এবং তার পরিবার দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে খাস জমির উপর তার বাবার আমল থেকে এই জমিতে রাবার চাষ করে জীবন যাপন করে আসছিলেন। এবং তার বক্তব্য কোন নোটিশ না দিয়ে পাশের জায়গার মালিক কি করে সরকারি আধিকারিকের সামনে তার দখলে থাকা জায়গার গাছ গুলি কেটে ফেলে ধ্বংস করে। শুধু তাই না গত ২৪ শে নভেম্বরের পর পুনরায় ২৯ শে নভেম্বর শনিবার একই প্রক্রিয়ায় লয়েন অর্ডার কে নষ্ট করার জন্য নগেন্দ্র ঋষি দাস ও তার ছেলে বিক্রম ঋষি দাসের কথায় পুলিশ প্রশাসনকে সামনে রেখে পুনরায় খাস জমির রাবার বাগানের গাছ কেটে ফেলে। তাতে এই ঘটনা দেখতে পেয়ে এলাকাবাসি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এমনকি প্রশাসনের সামনে গাছ কাটার দৃশ্য গুলি ক্যামেরা বন্দী করে রাখে।এই বিষয়টি নিয়ে খোয়াই মহকুমা শাসকের সাথে কথা বললে জানা যায় আদালতের রায় অনুযায়ী প্রশাসন নির্ধারিত ব্যক্তির জায়গা সঠিকভাবে মাপ ঝোক করে তাদের হাতে তাদের জায়গা হস্তান্তর করে দেবে এটাই নিয়ম। সেই জায়গায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দখলকৃত জায়গার কোন গাছ পালা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাটার অনুমতি নেই। শুধু তাই না সরকারি জমিতে কোন ব্যক্তি চাষাবাদ করলে তাকে আগে থেকে নোটিশ দেওয়া হয়। তেমন যদি হতো তাহলে সরকারের পক্ষ থেকে বিকাশ পালকে ও সেই নোটিশ ধরানো হত। যেহেতু বিকাশ পালকে কোন নোটিশ দেওয়া হয়নি সরকারের পক্ষ থেকে সেই জায়গায় প্রশাসনের কোন লোক তার বাগানকে কাটতে পারে না বলে জানান খোয়াই মহকুমা শাসক। শুধু তাই না কোন ব্যক্তি নিজের জমি অধিগ্রহণ করতে গিয়ে যদি পরের জমিতে নষ্ট করে অর্থাৎ দখলকৃত জায়গার গাছপালা নষ্ট করে সেই ব্যক্তি যদি মামলা করে তাহলে গাছ কাটার অপরাধে যে ব্যক্তির কথায় গাছ কেটে ছিল তাকে জরিমানা করার ও প্রাবধান রয়েছে বলেও জানান মহাকুমা শাসক।এখন প্রশ্ন হল সরকারি আধিকারিকদের ভালোবাসা আদান-প্রদানের মাধ্যমে কি এই অবৈধ কাজটি সংগঠিত করেছেন?প্রশাসন যেন হতদরিদ্র রাবার চাষীর বিষয়টা মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেন এর জন্য দাবি জানান ঐ এলাকায় জনগণ।



