গোপেশ রায় : তেলিয়ামুড়া,
উন্নয়নের কারিগররাই অবহেলিত! ঘটনা তেলিয়ামুড়া পূর্ত দপ্তরের কার্যালয়ের। এক কথায় তেলিয়ামুড়া পূর্ত দপ্তরের অফিসের অবস্থা ভগ্নদশা গ্রস্থ, যেখানে রাস্তা থেকে শুরু করে বিভিন্ন উন্নতি প্রকল্পের নির্মাণের কাজে যারা জড়িত তাদের অফিস কার্যালয়ের অবস্থা করুন। এই সময় কালে মহাকুমা অবস্থিত বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কার্যালয়গুলো আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে সেইখানে পিছিয়ে পূর্ত দপ্তরের কার্যালয়টি। দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছর ধরে একই অবস্থা । অফিস জন্মের পর থেকে এখন অব্দি একি, মাঝেমাঝে উপর দিয়ে শুধু রং পালিশ করা হয়। বয়সের ভারে অফিস কক্ষগুলো বর্তমানে অবস্থায় এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে শত সংস্কারের পরও এগুলো আর ব্যবহারের উপযুক্ত হয়ে উঠবে না। তাছাড়া সবাই অবগত আছে তেলিয়ামুড়াতে বানরের সমস্যা একটা নিত্যদিনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারি মধ্যে তেলিয়ামুড়া পূর্ত দপ্তরের কমপ্লেক্স টি বানরের উপদ্রবের ফলে উপরের টিনের ছাদগুলো বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফলে বর্ষার দিনে অফিস কক্ষে বৃষ্টির জল প্রবেশ করার ফলে অফিস স্টাফদের কাজকর্ম করতে অনেকটাই সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। এমনটাই জানিয়েছেন একাংশ মহাকুমবাসী। পূর্ত দপ্তরের আভ্যন্তরীণ সূত্রের খবর এই সমস্যার জন্য অনেকবার দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরেও কোন এক অজ্ঞাত কারণে তার কোন সমাধানের রাস্তা বের হয়নি।
এ দিকে তেলিয়ামুড়া দপ্তরের এক্সিটিভ ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত দাস কাছে সাংবাদিকরা এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এই ঘটনাকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন , পরবর্তীতে আমতা আমতা সুরে বলেন অফিসের কিছু সমস্যা আছে এসব আমি ঊর্ধ্বতর- কর্তৃপক্ষ নজরে নিয়েছি।
তবে আসলে কতটুকু কাজ হবে পরবর্তীতে তিনি স্পষ্ট করে সাংবাদিকদের জানাতে পারেনি।
মহকুমা বাসীর দাবি, রাজ্য সরকার যাতে এ বিষয়টা নজরে এনে তেলিয়ামুড়া বাসিকে একটা নতুন আধুনিক পূর্ত দপ্তর অফিস স্বচ্ছ নির্মাণের মধ্য দিয়ে উপহার দেয়। এখন দেখার বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষরা কি দায়িত্ব নেয় ? না গতানুগতি ভাবে একই অবস্থায় চলতে থাকবে।



