বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ১৮ই নভেম্বর…..বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে ত্রিপুরা রাজ্যে থেকে চিরতরে হারিয়ে গেল জম্পুই পাহারের সেই সুস্বাদু কমলা লেবু।যা বর্তমান সময়ে চিরতরে লুপ্ত হয়ে গেল কালের প্রবাহে। তবে শীতের মোর্সুমের রসালো কমলালেবু বাজারে এসে গেছেন। কিন্তু রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী ও সুস্বাদু জম্পুইয়ের সেই কমলা হারিয়ে গেলেও বহি রাজ্যের কমলা খেয়ে রাজ্য বাসি তাদের পিপাসা মেটাচ্ছে। রাজ্যে তথা খোয়াই এর বাজার গুলিতে এই মৌসুমের সবচেয়ে রসালো ফল কমলা লেবু বাজারে চলে এসেছে। হালকা শীত শুরু হওয়া সঙ্গে সঙ্গে কমলা লেবুর চাহিদা বেড়ে যায় গ্রাহকদের। যথারীতি গ্রাহকদের চাহিদা পূরণের জন্য কমলালেবু বিক্রেতারা শীতের মৌসুমের সব থেকে বেশি চাহিদা পূর্ণ রসালো ফল কমলালেবুর চাহিদা পূরণ করতে হয় বহিরাজ্যের কমলা লেবু দিয়ে। যদিও একটা সময় ছিল রাজ্যের জম্পুই হিলের কমলার মাধ্যমে কমলালেবুর চাহিদা পূরণ করা হতো গোটা রাজ্যের গ্রাহকদের। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এই মোর্সুমের সবথেকে চাহিদা পূর্ণ কমলা লেবুর চাহিদা পূরণ করা হয় বহি রাজ্যের কমলালেবু দিয়েই। গ্রাহকরা আজও জম্পুই হিলের কমলালেবুর খোজ করে থাকেন। চাহিদা থাকলেও কিন্তু বিগত বেশ কিছু বছর ধরে জম্পুই হিলের কমলালেবুর সাধ রাজ্যের মানুষের কপালে জোটে না। রাজ্যের ঐতিহ্যপূর্ণ এবং সুস্বাদ জম্পুইয়ের কমলা লেবু নেই বললেই চলে। জম্পুই হিলে এখন আর আগের মত কমলা চাষ হয় না বলে কমলালেবু বিক্রেতাদের বক্তব্য। জম্পুই হিলে এখন কমলার পরিবর্তে অন্যান্য ফসল চাষ করা হয়। কিন্তু জম্পুই হিলের কমলা লেবু যে রকম সুস্বাদু সেই রকম খাদ্যগুণ সম্পূর্ণ। পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্যের বা রাজ্যের অন্যান্য স্থানের কমলালেবুর পরিবর্তে জম্পুইহিলের কমলালেবুর চাহিদা গোটা রাজ্য এবং রাজ্যের বাইরে মানুষের কাছে অনেকটাই বেশি। একটা সময় ছিল জম্পুই হিলের কমলা বাগান কে কেন্দ্র করে রাজ্যের বৃহত অংশের ভ্রমণ পিপাসু জনগণ কাঞ্চন পুরের লাগোয়া জম্পুই হিলে যেতেন। প্রতিবছর এই কমলালেবু কে কেন্দ্র করে জম্পুই হীলে অনুষ্ঠিত হতো কমলা উৎসব। আজ এইসব যেন এক ইতিহাস।যাই হোক এই সময়ের সব থেকে রসালো কমলা লেবুর চাহিদা এখন বহি রাজ্যের কমলালেবু দিয়ে চাহিদা পরিপূর্ণ করেন বিক্রেতারা। একেত কালের প্রভাবে নষ্ট হয়ে গেছে জম্পুই এর কমলা বাগান অন্য দিকে রাজ্য সরকার ও কৃষি দপ্তরের অবহেলায় ও পরিচর্চার অভাবে নষ্ট হয়ে যায় সেই বিখ্যাত জম্পুই এর কমলা লেবুর বাগানটি।এই বিষয়ে খোয়াইয়ের ফল বিক্রেতা অভিজিৎ মোদি জানান, গ্রাহকদের চাহিদা পরিপূর্ণ করতে এখন জম্পুই হিলের কমলার পরিবর্তে পাঞ্জাব ,এবং মিজোরাম সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা কমলা লেবু দিয়ে গ্রাহকদের পিপাসা মেটানো হচ্ছে।



