বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ২রা নভেম্বর…….হার ঘর জল,এই স্লোগানকে সামনে রেখে অটল জলধারা যোজনার মাধ্যমে জনগণের জন্য বিশুদ্ধ এবং আয়রন মুক্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা করা সত্ত্বেও ডি ডাব্লিউ এস এর চরম গাফিলতির কারণে আয়রন যুক্ত পানীয় জল গ্রহণ করতে হচ্ছে জনগণকে। দেখাগেছে বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থাপনাতে কেন্দ্রীয় সরকার তথা রাজ্য সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করছেন। যাতে করে রাজ্যের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত অটল জলধারা যোজনার মাধ্যমে পানীয় জল পেয়ে যায়। সকলের জন্য পানীয় জলের ব্যবস্থাপনাতে বদ্ধপরিকর সরকার। অন্যদিকে খোয়াই ডি ডাব্লিউ এস দপ্তরের আধিকারিক থেকে শুরু করে দপ্তরের কর্মকর্তাদের চরম গাফিলতির কারণে বিগত প্রায় এক দশক ধরে আয়রন যুক্ত পানীয় জল গ্রহণ করতে হচ্ছে জনগণকে। এমনই একটি ঘটনা ঘটে চলছে খোয়াই পশ্চিম সিঙ্গিছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে। খোয়াই সিঙি ছড়া শরৎচন্দ্র দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকাতে জরাজীর্ণ অবস্থায় পরিণত হয়ে রয়েছে জল তোলার মেশিন ঘরটি মেরামতের কোন উদ্যোগ নেই। অন্যদিকে প্রায় ৭কোটি টাকা খরচ করে এই এলাকার জনগণের জন্য আয়রন মুক্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা করেছিল তৎকালীন সরকার। গত এক দশক ধরে এই কোটি কোটি টাকার প্রজেক্ট মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছে, এখনো চালু করছে না খোয়াই এর ডি ডাবলু এস দপ্তরের আধিকারিক। এমনকি এই বিষয়ে খোয়াই পুর পরিষদের ও কোন হেলদোল নেই।পুর এলাকাকে বিশুদ্ধ পানিয় জলের আওতায় আনার জন্য কিছু দিন পর পর পুর চেয়ারম্যানের রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের এনে খোয়াই পুর বাসিদের জন্য বিশুদ্ধ পানিয় জলের ব্যবস্থার জন্য বিভিন্ন প্রজেক্ট নিয়ে ব্যাস্ত হতে দেখা যায়।অথচ খোয়াই সিংঙ্গিছড়া এলাকায় আইরন যুক্ত জল খাচ্ছ পুর বাসিরা।ঐ এলাকা সূত্রে খবর এই প্রজেক্টটি তৈরি করার পর এখন পর্যন্ত চালু করা হয়নি আইরন মুক্ত ৭ কোটি টাকা খরচের প্রজেক্টটি। খোয়াইয়ের ডি ডাবলু এস দপ্তরের আধিকারিক প্রতিমাসে লাখ লাখ মাসোহারা নিচ্ছেন দপ্তর থেকে। কিন্তু অন্যদিকে কি শহর কি গ্রাম পানীয় জলের বিভিন্ন সমস্যা বিদ্যমান। পশ্চিম সিঙ্গে ছড়া এলাকাতে আয়রন মুক্ত প্রোজেক্ট টি এখন পর্যন্ত চালু না হওয়াতে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণের মধ্যে চাপা ক্ষোভ রয়েছেন। খোয়াই এর ডি ডাব্লিউ এস দপ্তরের এর কর্মকর্তাদের চরম গাফলিতির জন্য রাজ্য সরকার কালিমা লিপ্ত হচ্ছেন। সরকার অক্লান্ত চেষ্টা চালাচ্ছেন যাতে জনগণ নাগরিক পরিষেবা থেকে যেন বঞ্চিত না হোন। অন্যদিকে একাংশ সরকারি কর্মকর্তাদের চরম গাফিলতির জন্য সরকারি সুযোগ সুবিধা গুলি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জনগণ। তাছাড়া পশ্চিম সিঙ্গিছড়া খোয়াই ডি ডাব্লিউ এস দপ্তরের এর অন্তর্গত জল তোলার যে ঘরটি রয়েছে জোরা জীর্ণ অবস্থা পরিণত হয়েছে। মেরামতের কোন উদ্যোগ নেই। বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন ভিন্ন অবস্থা। ডি ডব্লিউ এস দপ্তরের কর্মীরা বিদ্যুৎ চুরি করে জল তোলার মেশিন চালাচ্ছে। বিদ্যুৎ দপ্তরের মিটারের সঙ্গে জল তোলার মেশিনের কোন সংযোগ নেই। সম্পূর্ণ বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায় বন্দি করা হয়। এখন দেখার বিষয় আয়রন মুক্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও অর্থাৎ প্রায় ৭ কোটি টাকার আয়রন মুক্ত প্রজেক্ট ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণ আর কতদিন আয়রন যুক্ত পানীয় জল গ্রহণ করতে হবে সেটা খোয়াই ডি ডাব্লিউ এস দপ্তরের আধিকারিক তিনিই জানেন বা উত্তর দিবেন।



