নিজেদের স্বার্থে মরিয়া অর্থের সন্ধানে,দলের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাক, তা পুনরুদ্ধারে মাথা ব্যাঁথা নেই একাংশ বিজেপি কর্মীদের। চড়িলাম বিজেপি মন্ডলের ৩৯৫ পরিবারের ১৭০২ ভোটার মথা দলে যোগদান। তাপস দাস মন্ডল সভাপতি হওয়ার পর তার নিজ পঞ্চায়েত আড়ালিয়াতে এই নিয়ে ৪ বার বিজেপি ছেড়ে মথাতে মানুষ যোগদান করে।বিশালগড়ে কংগ্রেস যেমন কর্মী স্বল্পতায় ভুগছে ঠিক তেমনি চড়িলামে বিজেপিও কর্মী স্বল্পতায় ভুগছে। যেখানে সারা ত্রিপুরা রাজ্যব্যাপী মথা ছেড়ে লোক বিজেপিতে আসছে,সেখানে চড়িলামে ঠিক তার উল্টোরূপ।এখানে কর্মীরা নেতৃত্বের সাড়া না পেয়ে দলে দলে অন্য দলে যোগদানের পালা চলছে।বিশ্রামগঞ্জ মোটর স্ট্যান্ডে বুধবার দুপুরে যেখানে চড়িলামে বিজেপি কর্মীরা দলে দলে মথা চলে যাচ্ছেন সেখানে মন্ডল ব্যস্ত নিগোসিয়েশান বানিজ্যে। ভিলেজ কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিশ্রামগঞ্জ বুধবার দুপুরে মথা দলের এক বিশাল যোগদান সভার আয়োজন করা হয়। যদিও আড়ালিয়া থেকে সেই যোগদানের হিড়িক তৈরি হয়েছে। মন্ডল সভাপতি শরিক দল মথা বলে কথা চিন্তা নেই। আমরা একই মায়ের দুটি সন্তান মথা বিজেপি সেই চিন্তা দ্বারাই মন্ডল সভাপতি তাপস দাস এখন শুধুমাত্র নিগোজেশান বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত আর এইদিকে বিজেপি নাম ধুয়েমুছে দিচ্ছে মথা। আগামী বিধানসভায় চড়িলাম বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির কোন প্রার্থী জয়লাভ করতে পারবে না এটা অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেছে! গুষ্টি কোন্দলের ফলে আজ চড়িলাম বিধানসভায় মথা দলের জয় জয় কার। মথা দলের আয়োজিত এ দিনের যোগদান সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী বিশ্বকৃতু দেববর্মা,বিধায়ক মানব দেববর্মা, বিধায়ক সুবোধ দেববর্মা, চড়িলাম মথা দলের ব্লক প্রেসিডেন্ট বুদ্ধদেব দেববর্মা, এমডিসি গনেশ দেববর্মা সহ অন্যান্যরা। এদিনে চড়িলাম মন্ডলের বিভিন্ন মোর্চার কর্মীরা দাদা দিদির গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে ৩৯৫ পরিবারে ১৭০২ ভোটার বিজেপি ছেড়ে মাথা দোলে যোগদান করেন ।



