বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ১৮ই সেপ্টেম্বর…… বুধবার দিনটি ছিল দেব শিল্পী বিশ্বকর্মার পুজোর দিন।এই দিনটিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জায়গায় পুজোর আয়োজন করা হয়। সারাদিন আনন্দ ঘন এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটি অতিবাহিত হলেও সন্ধের পর নেমে আসে কালের ছায়া। তাতে করে ওই দিন রাত আটটায় এক পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে খোয়াই মহকুমা জুরে দুঃক্ষের ছায়া নেমে আসে। ঘটনার বিবরণে জানা যায় খোয়াই দুর্গানগর এলাকার বাসিন্দা নেপাল বনিক ও উনার শালক সিঙ্গিছরা এলাকার বাসিন্দা নারায়ন গোপ উভয়েই TR06 4989 বাইকে করে দুপুরে প্রথমে রতনপুর এলাকাতে যায় নেপাল বনিক এর সাইকেলের দোকানে । যেখানে নেপাল বনিকের একটি দোকান রয়েছে পূজা দেবার জন্য। কিন্তু নেপাল বনিক উনার দোকানে সামান্য ধুপ দীপ জ্বেলে শেষে শালক নারায়ন গোপকে নিয়ে চলে যান জুমিয়া কলোনি এলাকায়।কারোর বাড়িতে আনন্দ অনুষ্ঠান করার জন্য। সেখান থেকে সন্ধ্যা রাতে ফিরে আসার পথে রতনপুর বাজারে আগে এই দুর্ঘটনা ঘটে নিকি হত্যা করা হয় নেপাল বনিককে?এই প্রশ্নটাই উঁকি দিচ্ছে জনমনে বা প্রত্যক্ষদর্শীদের মনে?কেন এই প্রশ্ন উঠেছে জন মনে বা প্রত্যক্ষদর্শীদের মনে।এবার আসাজাক এই ঘটনার বিষয়ে। প্রচার পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু নেপাল বনিকের এবং গুরুতর আহত অবস্থায় শালক নারায়ন গোপ কে জীবিতে রেফার করা হয়।কেন প্রশ্ন উঠেছে মৃত নেপাল বনিক কে নিয়ে যে ঘটনাটি পথ দুর্ঘটনা নয় একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মনে করছেন অনেকেই।তারই কিছু প্রমানের ছবি তোলার সময় উঠে এসেছে।একে একে আসা যাক সেই ঘটনার দৃশ্য পটে। যদি পথ দুর্ঘটনা ঘটত তাহলে ঘটনা স্থলে তাদের বাইকটি কিভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। দ্বিতীয়ত যদি পথ দুর্ঘটনা ঘটত তাহলে উভয়ের জুতো দুই ফুটের মধ্যে কি করে থাকে?বেশ দূরে থাকার কথা কিন্তু না। তৃতীয়ত মৃত নেপাল বনিকের পথ দুর্ঘটনায় মাথা ফেটে এত রক্ত ক্ষরণ হয়নি। যদিও মাথায় আঘাত রয়েছে তবে ওটা দুর্ঘটনার জন্য নয়। চতুর্থ ত যদিও মেনে নেই নেপাল বনিকের যদি পথ দুর্ঘটনার শিকারই হয়েছেন , তাহলে উনার ডান বুকের পাঁজর সহ তিনটি আঘাতের চিহ্ন কি করে আসল বা সেই চিহ্ন গুলি কিসের সাধারণ ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে প্রত্যক্ষ দর্শীদের মনে। দুর্ঘটনার বুকের পাঁজরে ফুটো বা আঘাত থাকার কথা না। তাছাড়া নেপাল বনিকের মাথা ফেটে রক্ত ক্ষরণ হয়নি!যা হয়েছে উনার বুকের পাঁজরে তিনটি আঘাতের মধ্যে একটি আঘাত থেকে সবথেকে বেশি রক্ত ক্ষরণ হয়েছে যা দেখেই স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে।কারন নেপাল বনিকের বুকে কিছু ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের ফলে এত রক্ত ক্ষরণ।সুধু তাইনা উভয়কেই বেধরক মারা হয়েছে বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে।এই আরও অনেক কিছু আছে যা দেখে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছিলো যে নেপাল বনিকে চক্রান্ত করে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। শুধু তাই নয় নেপাল বনিকের ময়না তদন্তের রিপোর্ট খোয়াই জেলা হাসপাতালের পক্ষ থেকে না দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে আগরতলায়! এক সুত্রে জানা যায় এই ময়না তদন্তে ভেজাল রয়েছে তাই নিজেরা ভেজাল মুক্ত থাকতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য পাঠিয়ে দেয় আগরতলায়। তাছাড়া যে জায়গায় নেপাল ও তার শালক গিয়েছিল হয়তো সেই জায়গায় কোন কথা নিয়ে কারুর মধ্যে বাঘ বিতরণটা হয়েছে। সেই বাক বিতন্ডার সূত্র ধরেই কি এই হত্যাকান্ড বারবার প্রশ্ন হচ্ছে জনমনে। যদিও এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে মৃত ব্যক্তির বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখে এবং সাধারণ জ্ঞান বুদ্ধির উপর চর্চা করে। তবে এখন দেখার বিষয় ময়না তদন্তের রিপোর্টে কি আসে। এবং আহত নারায়ণ গোপ পুলিশের কাছে কি জবানবন্দি দেন। আসলে কি নেহাতই দুর্ঘটনা, নাকি তাদের উভয়কে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিল কেউ বা কার। সেটা স্পষ্ট প্রমাণ হবে নারায়ণ গোপের জবানবন্দি থাকে। যদিও জিবি সূত্রে জানা যায় নারায়ণ গোপ জিবি হাসপাতালে ইনসেনটিভ কেয়ারে রয়েছেন তার মাথায় রক্ত ক্ষরণ হয়েছে আগামী ৭২ ঘণ্টা না পেরলে কিছু বলা যাচ্ছে না যে তার মাথায় অস্ত্র প্রচার করা হবে কিনা। একমাত্র নারায়ন গোপই বলতে পারবেন এটি নিছক পথ দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হত্যার জন্য তাদের উপর হামলা করা হয়েছিল এই প্রশ্নের উত্তরের জন্য নারায়ন গোপ সুস্থ হলেই পাওয়া যাবে এরজন্য পাঠকদের অপেক্ষা করতে হবে কিছু দিন।