বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ১২ই সেপ্টেম্বর……. অবশেষে সাংবাদিক বাসুদেব ভট্টাচার্যীর অন্তর তদন্তের জেরে নিখোঁজ নয় অপহৃত খোয়াই ডিরোজিও মিশন স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র স্বপ্ননীল দাসকে উদ্ধার করল পুলিশ কল্যাণপুর থানাধীন শান্তিনগর গ্রাম থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টায়।খোয়াই ডিরোজিও মিশন স্কুলের সুনামকে বদনাম করার জন্য এই স্কুলেরই অষ্টম শ্রেণির ছাত্র স্বপ্ননীল দাসের পিতা যিনি একজন ত্রিপুরা পুলিশের কনস্টেবল একটি কন্সপিরেন্ছি করে নিজের ছেলে স্বপ্নীল দাস কে পরিবারের অন্যান্য লোকদের দিয়ে অপহরন করিয়ে অন্য জায়গায় রেখে উনার স্ত্রী নন্দিতা ভট্টাচার্যী দাসকে দিয়ে খোয়াই থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করান গত ১০ ই সেপ্টেম্বর। এই ঘটনাটি যে নিখোঁজ নয় একপ্রকার অপহরণ করা হয়েছে সে বিষয়ে অনেক তথ্য সাংবাদিকের কাছে উঠে আসলে সাংবাদিকের অন্তর তদন্তের সেই সূত্র ধরে পুলিশ তদন্ত শুরু করলে তার তথ্য প্রমাণ পান। অবশেষে বৃহস্পতিবার রাত বারোটা নাগাদ কল্যাণপুর থানাধীন বাগানবাজার এলাকার শান্তিনগর গ্রাম থেকে ডিরোজিও মিশন স্কুলের ছাত্র স্বপ্ননীল দাস কে পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এই বিষয়ে এই ঘটনার তদন্তকারী অফিসার রঞ্জিত সরকার সংবাদ মাধ্যমকে জানান গত ১০ ই সেপ্টেম্বর খোয়াই থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় খোয়াই ডিরোজিও মিশন স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র স্বপ্ননীল দাসের নামে যে সে নিখোঁজ। শেষে পুলিশ এই বিষয়ে তদন্ত নেমে জানতে পারে ডিরোজিও মিশন স্কুলের ছাত্র স্বপ্ননীল দাসের স্কুলের ফ্রি ২৭ হাজার টাকা বকেয়া পড়ে আছে। অনেকবার ছাত্রটির বাবা শ্রীকান্ত দাস কে বলা হয় তার স্কুলের ফ্রি জমা করানোর জন্য না হলে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হবে। এরপর সামান্য কিছু টাকা দিলেও বাকি টাকা দেয়নি। ঐদিন ছিল ছাত্রটির পরীক্ষা। টাকা না দেওয়ার কারণে স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাত্র থেকে পরীক্ষা দিতে দেয়নি, তাছাড়া সেই ছাত্রটি ছিল অনেক গুণধরের অধিকারী। অবশেষে ছাত্রটি বাড়ি ফিরে আসলে ছাত্রটির পিতা শ্রীকান্ত দাস যিনি একজন ত্রিপুরা পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত স্কুল কর্তৃপক্ষকে এবং স্কুলের সুনামকে কালিমা লিপ্ত করার জন্য একটি কন্সপিরেন্ছি করে অর্থাৎ প্রকারান্তরে ছেলেকে বাড়ি থেকে পরিবারের অন্যান্য লোকদের দিয়ে একপ্রকার অপহরণ করিয়ে অন্যত্র লুকিয়ে রাখে। এর পিছনে যারা যুক্ত এরা হলো খোয়াই সুনাতলা এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ দেব, খোয়াই চরগনকি এলাকার বাসিন্দার দীপক দাস , ছাত্রটির মা নন্দিতা ভট্টাচার্যী দাস এবং তার বাবা শ্রীকান্ত দাস সহ আরো অনেকে রয়েছে বলে জানান তদন্তকারী পুলিশ অফিসার রঞ্জিত সরকার। ঐ দিন ছাত্র স্বপ্ননীল দাস কে বিশ্বজিৎ দেব তার কালো রঙের TR06-B-7628 সুপার স্প্লেন্ডার বাইকে করে স্কুল ড্রেস পরিহিত অবস্থায় তার বাড়ি থেকে অর্থাৎ ডিরোজিও স্কুল সংলগ্ন বাইক দিয়ে তাকে সেখান থেকে প্রথমে চরগনকিতে নিয়ে যায়।এর পর সাংবাদিকের তদন্তের ফলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চরগনকি থেকে বাগান বাজার এলাকার সান্তিনগর গ্রামে নিয়ে যায়। ঘটনার দিন প্রথমে খোয়াই জাম্বুরার এলাকাবাসীর বিষয়টি বুঝতে পারেনি। নিখোঁজ হবার পর যখন থানায় ডাইরি হয় এবং সমস্ত ঘটনাটি প্রচারে আসে তখন এলাকাবাসী বুঝতে পারে এবং দেখতে পায় ছেলেটিকে নিয়ে অন্যজন কোথাও চলে যাচ্ছে। তাতেই অনেকের সন্দেহ হয় যে বিষয়টি নিখোঁজ সংক্রান্ত নয় বিষয়টি ওর পরিবার থেকে ছেলেটিকে একপ্রকার অপহরণ বিষয়ক কনস্পেরেন্ছি করেছে পরিবারের লোকেরা স্কুলকে বদনাম করার জন্য।এই বিষয়টিও সাংবাদিকের অন্তর তদন্ত ধরা পড়ে। সেই সুবাদে ছাত্রটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। অবশেষে শুক্রবার ছাত্র স্বপ্ননীল দাস কে আদালতে তোলা হয় তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে জানান তদন্তকারী অফিসার। তবে একজন পুলিশের কনস্টেবল হয়ে শ্রীকান্ত দাস খোয়াই ডিরোজি ও মিশন স্কুলকে কালিমা লিপ্ত করার জন্য পরিবারের লোকদের দিয়ে নিজের ছেলেকেই অপহরণ করার নাটক সাজিয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনকেও হেনস্থা করেছে শ্রীকান্ত দাস। এই বিষয়ে তদন্তকারী পুলিশ অফিসার রঞ্জিত সরকার তদন্ত করছেন বলে জানান যে এই ধরনের অপহরণ নাটকের পেছনে কি রহস্য লুকিয়ে রয়েছে।তবে ছাত্র স্বপ্ননীল দাস অক্ষত অবস্থায় ফিরে আসার ফলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন খোয়াই বাসি।