Saturday, September 13, 2025
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদঅনৈতিক ভাবে নারকটিক্স ড্রাগস বিক্রির অভিযোগে খোয়াই সুভাষ পার্ক স্থিত জয়রাম মেডিকেল...

অনৈতিক ভাবে নারকটিক্স ড্রাগস বিক্রির অভিযোগে খোয়াই সুভাষ পার্ক স্থিত জয়রাম মেডিকেল হলে হানা দিল ড্রাগ ইন্সপেক্টর।

খোয়াই প্রতিনিধি ১২ই সেপ্টেম্বর.….খোয়াই এর বিভিন্ন ঔষধের দোকানেই অনৈতিক ভাবে বিক্রি হচ্ছে নারকটিক্স ড্রাগস! সেই অভিযোগের তীর খোয়াইয়ের প্রসিদ্ধ ঔষধ ব্যবসায়ী জয়রাম মেডিকেল হলের মালিক তাপস রাউত সহ তাদের তিন পাটনারের বিরুদ্ধে। ঘটনার বিবরণ প্রকাশ বিগত বহু বছর ধরে গোপনে রমরমা ড্রাগসের ব্যবসা চালাচ্ছে খোয়াইয়ের সুভাষ পার্কের জয়রাম মেডিকেল ওষুধের দোকানের কর্ণধার তাপস রাউত সহ তিন পাটনার। খোয়াই সুভাষ পার্কের কিছু সনামধন্য অসাধু ঔষধ ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফা আদায়ের লক্ষ্যে যুব সমাজকে ধ্বংস করে চলেছে। এই অসাধু ব্যবসায়ীদের ফক্করে পরে একাংশের যুবক ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তার জলজ্যান্ত উদাহরণ হিসেবে প্রমাণ মিললো বৃহস্পতিবার। খোয়াই জেলা সদর শহরের আনাচে-কানাচে গজিয়ে উঠেছে ড্রাগস্ ব্যবসায়ী। তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ড্রাগস্ সেবনকারীর সংখ্যা। আর এদিকে নেশার লাগাম টানতে পুলিশ সক্রিয় হয়ে ময়দানে পড়ে থাকলেও অসাধু ব্যবসায়ীরা গোপনে ড্রাগস্ বিক্রি করে চলেছে। ড্রাগস্ কারবারিদের পুলিশ জালে তোলার জন্য সক্রিয় মনোভাব নিয়ে ময়দানে নেমেছে। অন্যদিকে খোয়াই জেলা আরক্ষা প্রশাসনের উদ্যোগে নেশার সাম্রাজ্যকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে নেশার বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান শুরু করছেন এবং বিশেষ সফলতাও অর্জন করে চলেছেন। এই সফলতা অর্জন করার জন্য দায়িত্ব গ্রহণের পরই সাদা পোশাকের একটা টিম গঠন করে খোয়াইয়ের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে দিয়েছেন।ফলে নিত্যদিনই সাদা পোশাকের পুলিশ নেশা কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে তাতে সাফল্যও মিলছে।একাধিক স্থানে প্রতিদিন ছোট থেকে বড় নেশা কারবারিদের জালে তুলতে সক্ষম হচ্ছে পুলিশ।সেই মোতাবেক বুধবার রাতে সাদা পোশাকের পুলিশ খোয়াই সরকারি দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের সামনে থেকে আটক করে এক নেশা সেবন কারী যুবককে। আটককৃত অনুপ দেববর্মার কাছ থেকে নাট্র্জিফাম নামক নারকটিক্স ড্রাগস্ জাতীয় ঔষধ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশি তদন্তের পর ধৃত অনুপ দেববর্মা শিকার করেন দীর্ঘ দিন যাবত এই ড্রাগস্ খোয়াইয়ের প্রসিদ্ধ ঔষধ ব্যবসায়ী তথা জয়রাম মেডিকেল থেকে ক্রয় করে চলেছেন।পরবর্তী সময়ে এই বিষয়টি ড্রাগ ইন্সপেক্টর সুব্রত দাসের নজরে আসলে সাথে সাথেই পুলিশের সহায়তায় ধৃত নেশা সেবনকারীকে সাথে নিয়ে জয়রাম মেডিকেলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেন। এবং ঘটনার সত্যতা খুঁজে পান এবং ওই ওষুধের দোকানে অবৈধ বেশ কিছু নাইট্রোজিফাম নারকটিক্স ড্রাগস্ উদ্ধার করেন ড্রাগ ইন্সপেক্টর সুব্রত দাস। ড্রাগ ইন্সপেক্টর সুব্রত দাস এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, এই নারকোটিক্স ড্রাগটি একমাত্র বয়স্ক রোগীদের জন্য ব্যবহৃত হয় তাও আবার ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনের মোতাবেক বিক্রি করতে পারবে। এই ঘুমের ওষুধ একটি ট্যাবলেট বিক্রি করা অনুমতি রয়েছে।কিন্তু ইনস্পেকশনে গিয়ে তথ্য উঠে আসলো তাতে জয়রাম মেডিকেল প্রেসক্রিপশন ছাড়াই দীর্ঘদিন যাবৎ ২৬ টাকা মূল্যের ড্রাগসটি অবৈধভাবে ১০০ টাকা বিনিময়ে বিক্রি করে যাচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে এছাড়াও বহু অভিযোগ রয়েছে এই দোকানের বিরুদ্ধে। দোকানের মালিক তাপস রাউত অবৈধভাবে প্রেসক্রিপশন ছাড়া অতিরিক্ত মূল্যে এই ঔষধ বিক্রি করে আসছেন। যা আগামী দিন একটা সময় এই ওষুধের দোকান সিল করতে বাধ্য হবে ড্রাগ কন্ট্রোলার বলে জানান। এখানে উল্লেখ থাকে, যেখানে সিসিটিভি দোকান চলাকালীন সময় এবং এর পরবর্তীতে চালু থাকা আবশ্যক সেই জায়গায় কেন সেই ছেলেটি দোকানে আসার ১০ থেকে ১২ মিনিটের ব্যবধানের মধ্যে সিসিটিভি বন্ধ করে দেয়া হলো তা নিয়ে সন্দেহ দানা বাধছে ক্রমশ।তবে এই বিষয়ে ড্রাগ ইন্সপেক্টর সুব্রত দাস সমস্ত রিপোর্ট উপর মহলে পাঠিয়েছেন বলে জানান।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

7 − 3 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য