স্ত্রী সন্তানকে রেখে পরকীয়ায় লিপ্ত স্বামীর বিরুদ্ধে মামলার শুনানিতে এসে খোয়াই জুডিশিয়াল প্রথম শ্রেণীর আদালতের দুই নং কোর্টের বিচারপতির সামনেই দুই মহিলার মারপিটের ঘটনায় আদালত চত্বরে থাকা সবাই হতভম্ব।

বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ৬ই জুন..….. স্ত্রী সন্তানকে রেখে স্বামী যখন পরকীয়ায় লিপ্ত তখন স্ত্রী স্বামী জন দেববর্মা বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে। সেই মামলা শুনানির জন্য যখন বৃহস্পতিবার দুপুরে খোয়াই জুডিশিয়াল প্রথম শ্রেণি আদালতের দুই নং কোর্টের হাকিমের সামনে মামলা চলছিল তখন হঠাৎ করেই ওই স্বামী জন দেববর্মা অবৈধ প্রেমিকা খবর পেয়ে আদালতে এসে আদালতের বিচারপতির সামনেই জন দেববর্মার বিবাহিত স্ত্রীকে ব্যাপক হারে মারধর করতে থাকে। তাতে উভয় মহিলা একে অপরের প্রতি হাত সাফাই করতে গিয়ে জন দেববর্মার স্ত্রীর গালে আচর বসিয়ে দেয় অবৈধ প্রেমিকা চাঁদনী দেববর্মা। এবং তাতে আদালত চত্বরে প্রচন্ড হই হুল্লোড়ের সৃষ্টি হয়। এই খবর পেয়ে আদালত উ
চত্তরের সমস্ত আইনজীবী থেকে শুরু করে হাকিমরা এসে উপস্থিত হয়। পাশাপাশি এই খবর পেয়ে খোয়াই কোর্ট পুলিশের কর্মকর্তারা ও কোর্ট চত্বরে গিয়ে হাজির হয়। খোয়াই আদালত চত্বরে এই ধরনের ঘটনা আগুনের মতন সমস্ত খোয়াই শহরে ছড়িয়ে পড়ে।ঘটনাটি ঘটে যাওয়ার পর সবাই যখন ঘটনা দেখতে এবং বুঝতে ব্যস্ত ছিল এরই ফাকে ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যায় জন দেববর্মার অবৈধ প্রেমিকা চাঁদনী দেববর্মা। এরপর গুরুতর আহত বেশমি দেববর্মাকে খোয়াই জেলা হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়া আনা হয়। ঘটনার বিবরনে জানা যায় খোয়াই তবলা বাড়ি এলাকার বাসিন্দা উত্তম দেববর্মার ছেলে জন দেববর্মা পেশায় একজন সরকারি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক। বর্তমানে তিনি বেহালা বাড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত রয়েছেন বলে জানা যায়। তিনি বিবাহ করেন তুলাশীখড় এলাকার বাসিন্দা বেসমি দেববর্মাকে। তাদের ছয় বছরের একটি কন্যা সন্তান ও রয়েছে। স্ত্রী সন্তান থাকা সত্ত্বেও সেই হোমিও চিকিৎসক জন দেববর্মা চান্দনী দেববর্মা নামক মহিলার সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এবং তাদের সেই সম্পর্কের কথা এবং অনেক কিছুই ধরা পড়ে জন দেববর্মার স্ত্রী বেসমি দেববর্মার চোখে। শুধু তাই না এও জানা যায় জন দেববর্মার অবৈধ প্রেমিকা চাঁদনী দেববর্মা মাঝে মধ্যে তাদের বাড়িতে এসে রাত্রি যাপন করেন। পাশাপাশি জন দেববর্মাও সেই অবৈধ প্রেমিকার বাড়িতে চলে যান। তাতে করে জন দেববর্মা ও তার স্ত্রী বেসমি দেববর্মার মধ্যে পারিবারিক অশান্তি চলতে থাকে। শেষে কোন পথ দেখতে না পেয়ে জন দেববর্মা স্ত্রী বেসমি দেববর্মা আদালতের দারস্ত হয়। শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে সেই মামলার হয়তো শুনানি পর্ব ছিল খোয়াই জুডিশিয়াল প্রথম শ্রেণীর আদালতের দুই নং কোর্টে । যখন এই কোর্ট মামলা শুনানি পর্ব চলছিল তখনই জন দেববর্মার প্রেমিকা চাঁদনী দেববর্মা এসে আদালতে ভিতর বিচারপতির সামনেই বেসমি দেববর্মার উপর চড়াও হয়ে প্রচন্ডভাবে মারপিট করতে থাকে। তাতে বেসমি দেববর্মা গুরুতর আহত হয় এবং উনার গাল কেটে যায়। এই ঘটনায় সমস্ত আদালত চত্বরে ব্যাপক গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়। দৌড়ে আসে কোর্ট পুলিশ । এরপর বসমি দেববর্মাকে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে আনা হয় খোইয়া জেলা হাসপাতাল থেকে। তবে এই ধরনের ঘটনা খোয়াই আদালত চত্বরে প্রথম ঘটে। আদালতে মানুষ আসে বিচার পাওয়ার জন্য । সেখানে যারা আসে তাদের সবাইকে আদালত চত্বর বা আদালতে নিয়ম নীতি মেনে আদালতকে সম্মান করে । শুধু তাই না সেখানে কোন উশৃঙ্খলতা আদালত বরদাস্ত করে না। যারা করে তাদের বিরুদ্ধে কন্টেম অফ কোর্ট অর্থাৎ আদালতকে অবমাননা করার দায়ে জেল জরিমানাও হতে পারে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বহিরাগত এক মহিলা এসে আদালতের বিচারপতির সামনে আরেক মহিলাকে রক্তাক্ত করে চলে যাবার ঘটনাকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না খোয়াই মহাকুমা বাসি। আর তাতেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছি ছি রব উঠেছে খোয়াই শহর জুড়ে। বিচার চাইতে এসে আদালতের হাকিমের সামনেই রক্তাক্ত হলো এক মহিলা। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আদৌ কি সঠিক বিচার পাবে আক্রান্ত মহিলা বেসমি দেববর্মা সেটা এখন মূল কথা।