তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি
একে অপরের পরিপূরক এমন চিত্রই লক্ষ্য করা যায় বর্তমানে। ত্রিপুরার সাংবাদিক সমাজে যেন এক অদৃশ্য বন্ধনের সেতুবন্ধন কাজ করে—একজন বিপদে পড়লে অন্যজন ছুটে যান, পাশে দাঁড়ান, খোঁজ নেন এবং সাহস জোগান। এই মানবিক সৌন্দর্য আরও একবার দৃশ্যমান হলো বুধবার, তেলিয়ামুড়ার রাজনগরে।
সম্প্রতি বহিরাজ্যে জটিল অস্ত্রোপচারের পর রাজ্যে ফিরেছেন খোয়াই জেলার ত্রিপুরা জার্নালিস্ট ইউনিয়নের সম্পাদক গোপেশ রায়। শরীরে অপারেশনের ক্লান্তি, মনেও ছিল কিছুটা আশঙ্কা। তবে সেই অন্ধকারে আলোর ছায়া হয়ে এলেন আগরতলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও ত্রিপুরা জার্নালিস্ট ইউনিয়নের সভাপতি প্রণব সরকার। সঙ্গে ছিলেন ত্রিপুরা জার্নালিস্ট ইউনিয়নের অন্যান্য শীর্ষ নেতা সাজ্জাদ আলী, রঞ্জিত দেববর্মা সহ তেলিয়ামুড়া মহকুমা জার্নালিস্ট ইউনিয়নের একঝাঁক সদস্য।
প্রতিনিধি দলটি বুধবার দুপুরে উপস্থিত হন গোপেশ রায়ের তেলিয়ামুড়া রাজনগরস্থিত বাসভবনে। দীর্ঘ যাত্রা ও ব্যস্ততার মধ্যেও প্রণব সরকার ও তাঁর সহযোগীরা গোপেশ রায়ের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন, পাশে বসে তাঁর সুস্থতা কামনা করেন এবং পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা জোগান।
এই মানবিক উদ্যোগ সম্পর্কে প্রণব সরকার বলেন, “আমি সাংবাদিক হিসেবে সব সময় বিশ্বাস করি—আমরা একে অপরের পরিবার। কেউ বিপদে পড়লে আমরা তার পাশে থাকব, এটাই আমাদের পেশাগত নীতি এবং মানবিক কর্তব্য।” তিনি আরও বলেন, “সাংবাদিকতা শুধুই খবর সংগ্রহের কাজ নয়, এটা একটা চেতনার নাম—যেখানে সহানুভূতি, একতা, এবং পারস্পরিক সমর্থন সবচেয়ে বড় শক্তি।”
গোপেশ রায়ের চোখেও ছিল কৃতজ্ঞতার জ্যোতি। সহকর্মীদের এই ভালোবাসা ও উপস্থিতি যেন তাঁর আরোগ্যের পথকে আরও আলোকিত করে তুলল।
ত্রিপুরার সাংবাদিক মহলে এই ঘটনা ইতোমধ্যেই এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে ছড়িয়ে পড়েছে। সাংবাদিকতা পেশার বাইরেও যে এক আন্তরিক বন্ধন কাজ করে, সেটাই যেন প্রমাণ করলেন প্রণব সরকার ও তাঁর নেতৃত্বাধীন ইউনিয়ন। তাছাড়াও প্রতিনিয়ত খবর নেন ত্রিপুরার জার্নালিস্ট ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সন্তোষ গোপ সহ অনেক নেতৃত্ব ।