বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ৩রা এপ্রিল……..খোয়াই মহকুমা এলাকার গৌরাঙ্গ টিলাতে অবস্থিত শ্রী শ্রী জ্ঞান মন্দির স্কুলটি দীর্ঘ বছর পুরনো। এই বিদ্যালয়টি মূলত দ্য আর্ট অফ লিভিং দ্বারা পরিচালিত। গত কয়েকদিন আগে এই স্কুলের ৬ জন শিক্ষক শিক্ষিকাকে কোন ধরনের নোটিশ না দিয়ে তাদেরকে ছাটাই করা হয়েছে বলে মৌখিকভাবে জানিয়ে দেয় ডিস্ট্রিক্ট কোঅর্ডিনেটর পুলক ভট্টাচার্য ও রাজ্য কোঅর্ডিনেটর। এই ঘটনায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে ছাটাই হওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মাথায়। ছাটাই হওয়া শিক্ষিক শিক্ষিকারা বিগত প্রায় কুড়ি, বছর ধরে এই স্কুলে শিক্ষকতা করে আসছে। এই স্কুল শুরুতে অর্থাৎ যখন স্কুলটি স্থানীয় ভৈরব রূপ সংঘ ক্লাব ঘরে স্কুল চলতো তখন থেকেই ছাঁটাই হওয়া কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষকতা করে আসছিলেন। সেই সময় যারা শিক্ষকতা করতেন এই স্কুলে তাদেরকে সেইরকম বেতন ভাতা দেওয়া হতো না বিনা বেতনে এই সমস্ত শিক্ষকরা শিক্ষকতা করতেন। যদিও আস্তে আস্তে দা আর্ট অফ লিভিং এর পক্ষ থেকে স্বল্প পরিমাণে অর্থাৎ ৪০০ টাকা বেতন প্রথমে দিতে শুরু করেন আস্তে আস্তে কিছুটা হলেও বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই শিক্ষকদের শিক্ষকতার জন্য যে সমস্ত ট্রেনিং এর প্রয়োজন সে সমস্ত ট্রেনিংও করেছেন এবং সমস্ত কাগজপত্র রয়েছে ছাঁটাই হওয়ার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে। কিন্তু তারপরেও কেন তাদের ছাটাই করা হলো। এরই প্রতিবাদে স্কুলের অভিভাবকরা বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা নাগাদ স্কুলের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে স্কুলের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তীব্র খোভ প্রকাশ করতে থাকেন। গোটা ঘটনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন অভিভাবক থেকে শুরু করে ছাটাই হওয়া শিক্ষক শিক্ষিকারা। এই স্কুলটি প্রথমদিকে স্বল্প সংখ্যক ছাত্রছাত্রী দিয়ে শুরু করলো, বর্তমানে এই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা প্রায় তিন শতাধিক। ভালোভাবে চলছিল স্কুলটি।প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে অভিভাবক অভিভাবিকা বলেন এই স্কুল থেকে পড়াশোনা করে এমনও অনেক ছাত্র-ছাত্রী আছেন যারা বর্তমানে চিকিৎসা এবং কারিগরি বিদ্যায় শিক্ষা গ্রহণ করে দেশ ও রাজ্যের নাম উজ্জ্বল করছে। স্বল্প পরিমাণ বেতন ভাতা পান শিক্ষক-শিক্ষিকারা তারপরও দীর্ঘদিন ধরে এই স্কুলের সঙ্গে সম্পর্ক জড়িয়ে রয়েছে,রয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কও। হঠাৎ করে ৬ জন শিক্ষক শিক্ষিকাকে ছাঁটাই করে দেওয়াতে বর্তমানে এই স্কুলে পঠন-পাঠন করারত ছাত্র-ছাত্রীদের অদূর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় মধ্যে রয়েছে বলে অভিভাবকদের দাবি। কিসের ভিত্তিতে ছয়জন শিক্ষক শিক্ষিকাকে ছাঁটাই করা হলো সেটা বোঝার কোন উপায় নেই। সারা রাজ্যে এইরকম ৪২ টি স্কুল রয়েছেন তার মধ্যে রাজ্যের মধ্যে প্রথম এই গৌরাঙ্গ টিলার স্কুলটি প্রথম। বাকি স্কুল গুলি পরবর্তী সময়ে করা হয়। অন্যান্য স্কুলগুলিতে ছাত্রের সংখ্যা কম সেই তুলনায় সংশ্লিষ্ট এই স্কুলটিতে ছাত্রের সংখ্যা অনেক। তারপরও কেন ছাটাই করা হলো এই শিক্ষকদের এর পেছনে কি কারণ রয়েছে অভিভাবক থেকে ছাটাই হওয়ার শিক্ষক-শিক্ষিকারা কিছুই বলতে পারেনি। তবে অভিভাবকদের দাবি যতক্ষণ না পর্যন্ত ছাটাই হওয়ার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পুনরায় এই স্কুলে নিয়োগ দেওয়া না হবে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুলটি বদ্ধ থাকবে। এই স্কুলের ডিস্টিক কোডিনেটর এবং রাজ্য কটিনেটর কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের কথা চিন্তা করে এবং স্কুলটির কথা চিন্তা করে ,ছাটাই হওয়া শিক্ষকদের পুনরায় নিযুক্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে কি ভূমিকা গ্রহণ করে আগামী দিন সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছে অভিভাবক সহ ছাত্রছাত্রীরা।