খোয়াই প্রতিনিধি ২০শে ফেব্রুয়ারি…. আবারও খোয়াই জেলা হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ভূল চিকিৎসায় এক রোগীকে মেরে ফেলার জন্ন গুরুতর অভিযোগ উঠল। ঘটনার বিবরণে জানাযায় খোয়াই থানার অন্তর্গত মধ্য গনকি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত তবলা বাড়ি তাঁতি পাড়া এলাকার বাসিন্দা বিধু তাঁতির ছেলে বিশ্বজিত তাতির স্ত্রী অনিমা তাঁতি বুধবার রাত জিবি যাবার পথে মৃত্যু হয়। ঘটনার বিবরণ দিয়ে পরিবারের লোকজন জানায় অনিমা তাঁতিকে গত ৭ই ডিসেম্বর খোয়াই জেলা হাসপাতালে প্রসবকালীন সমস্যা নিয়ে ভর্তি করানো হয়। যথারীতি ঐদিন স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ অর্ঘমাল্য দেববর্মা সিজারের মাধ্যমে একটি ছেলে ভূমিষ্ঠ করান। বাচ্চা প্রসব হওয়ার পর থেকেই গৃহবধূর শারীরিক বিভিন্ন উপসর্গ শুরু হতে দেখা যায়। একটা সময় খোয়াই জেলা হাসপাতালের ওই স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অর্ঘমাল্য দেববর্মা পরিবারের লোকজনকে ডেকে বলে দ্রুত ওই গৃহবধু অনিমা তাঁতিকে আগরতলা জিবি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। পরিবারের লোকজন যথারীতি ডাক্তারবাবুর কথামতো আগরতলা জিবি হাসপাতালে নিয়ে যায়। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় লক্ষণীয় বিষয় হলো সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা অপারেশন করার পর ওই গৃহবধু আর প্রাকৃতিক কাজ করছিল না অর্থাৎ মুত্র ত্যাগ করতে পারছিলেননা। জিবি তে নেওয়ার পর আগরতলা জিবি হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা বলতে থাকেন ওই গৃহবধুকে দ্রুত ডায়ালাইসিস করতে হবে। কারণ ওই গৃহবধুর নাকি দুইটি কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে অবশ্যই তার ডায়ালিসিস করতে হবে। যথারীতি ডায়ালিসিস এর পর ডায়ালিসিস চলতে থাকে সর্বমোট ৩৪ টি ডায়ালাইসিস করা হয় সেই মহিলার। এই গোটা বিষয়টি নিয়ে পরিবারের লোকজন অভিযোগের আঙ্গুল তুলছে খোয়াই জেলা হাসপাতালের কর্মরত স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ অর্ঘমাল্য দেববর্মার বিরুদ্ধে ।তাদের অভিযোগ খোয়াই জেলা হাসপাতালে কর্মরত সেই স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সিজার কালীন সময়ে মহিলার মূত্রনালী কেটে দিয়েছে। সেই কারণেই দীর্ঘ সময় মৃত অনিমা তাঁতি সিজার করার পর উনার বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। এখন প্রশ্ন হল খোয়াই জেলা হাসপাতালে বর্তমান সময়ে কর্মরত স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞপদে যিনি বহাল রয়েছেন উনার আগে আরেকজন শ্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন অমূল্য দেববর্মা। তিনিও ঠিক এমনই একটি কর্মকান্ড ঘটিয়েছিল খোয়াই শান্তিনগর এলাকার এক গৃহবধুর সঙ্গে। পরবর্তীতে ওই গৃহবধু মৃত্যুর কোলে ঢলে পরেন। পরবর্তীতে এই বিষয়টি যখন সাংবাদিকরা জানতে পারে বিস্তারিতভাবে গোটা ঘটনাটি তদন্ত করে সংবাদের আকারে প্রকাশিত করার পর ওই গুণধর স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অমূল্য দেববর্মাকে খোয়াই জেলা হাসপাতাল থেকে অন্যত্রে বদলি করে দেয়। ঠিক একই রকম একটি ঘটনা ঘটে গেল খোয়াই জেলা হাসপাতালে। মৃত অনিমা তাঁতির নিকট আত্মীয়রা জানায় চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার কারণে অল্প বয়সের গৃহবধূকে মৃত্যুর কোলে চলে যেতে হল। তাই পরিবারের পক্ষ থেকে খোয়াই জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে, খোয়াই থানাতে একটি মামলা নথিভুক্ত করেন। তাদের অভিযোগ পুলিশ গোটা ঘটনাটি তদন্ত করছে না। কর্তব্যরত স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ অর্ঘমাল্য দেববর্মাকে আইনের আওতায় আনছেনা বরং পুলিশ উনাকে বাঁচাইতে চাইছেন বলে অভিযোগ। পরিবারের লোকজনের আরো দাবি এই ফুটফুটে বাচ্চা সন্তানটিকে কিভাবে তারা রক্ষা করবে সেটাই বড় প্রশ্ন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার জনগণ ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছে গোটা ঘটনাটিকে নিয়ে। এই মৃত্যুর কারণে তাতিপাড়া এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এখন দেখার বিষয় গোটা ঘটনাটি সঠিক তদন্তক্রমে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে পুলিশ প্রশাসন এবং রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। খোয়াই জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের দ্বারা একের পর এক ভূল চিকিৎসার কারনে আর কতজন খোয়াই বাসটিকে প্রান দিতে হবে???