বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ১৭ই জানুয়ারি…..শুক্রবার সকাল ১১ টায় ত্রিপুরা সরকারের খাদ্য জন সংভরন ও ক্রেতা স্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের উদ্যোগে এবং কৃষি দপ্তরের সহায়তায় কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করার আনুষ্ঠানিক ভাবে সূচনা হয় । এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খোয়াই জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্রীমতি অর্পনা সিংহ রায়, খোয়াই পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন শ্রীমতি টিংকু ভট্টাচার্য, এবং পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম অধিকারী, খোয়াই ব্লকের অতিরিক্ত ব্লক আধিকারি নেপাল নাথ, কৃষি দপ্তরের আধিকারী, সহ অন্যান্য আধিকারিকগণ। এই অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান টিংকু ভট্টাচার্য এবং পঞ্চায়েত সমিতির ভাই চেয়ারম্যান উত্তম অধিকারী বলেন মূলত এই অনুষ্ঠানটি হল কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করা। উওম অধিকারী আরো বলেন অনেকে কৃষকদেরকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলবার চেষ্টা করেন বাড়তি কিছু টাকা প্রদান করে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করার চেষ্টা করেন। উত্তম অধিকারী পরিষ্কার বলেন সরকার যদি কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় না করেন তবে একটা সময় দেখা যাবে ধানের দাম আবার নিচের দিকে নামতে থাকবে। তাই তিনি সকল কৃষকদের কাছে আহবান করেন অবশ্যই সরকারের কাছে ধান বিক্রি যেন করেন। ঠিক একই ভাবে খোয়াই ব্লকের এডিশনাল ব্লক আধিকারী কৃষকদেরকে উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। কৃষকদের অর্থনীতি বুনিয়াদ চাঙ্গা করার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন প্রকল্প চালু করেছেন, তার পাশাপাশি কৃষকদেরকে সহায়ক মূল্যে বীজ সার সহ বিভিন্ন সামগ্রী প্রদান করে থাকেন যাতে করে কৃষকরা সুন্দরভাবে কৃষি কাজের মাধ্যমে তার জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে পারে। তাছাড়া কৃষি দপ্তরের আধিকারিক বলেন কৃষকদের কাছ থেকে সরকার সহায়ক মূল্য ধান ক্রয় করছেন এতে অন্য বছরে তুলনা কেজি প্রতি ২ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগে কুইন্টাল প্রতি ২১ ০০ টাকা ধান ক্রয় করা হতো এখন প্রতি কুইন্টাল ২৩০০ টাকা দরে ক্রয় করা হচ্ছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৭৫ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করবে কৃষকদের কাছ থেকে সে জায়গায় লক্ষ্যমাত্রা পেরিয়ে ৪০০ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা হবে। তবে তিনি এটা বলেন এই পদ্ধতিতে ধান বিক্রি করে কৃষকরা অনেকটাই উৎফুল্লিত।